হ্যালোতে পাঠানো ইউনিসেফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাপান, রোহিঙ্গাদের জন্যে জরুরী পানি, স্যানিটেশন ও হাইজেইন ব্যবস্থার পাশাপাশি শিশু সুরক্ষা জোরদার করতে ছয় মাসের জন্যে সাড়ে সাত লাখ মার্কিন ডলারের অনুদান দিয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউনিসেফ প্রতিনিধি এদুয়ার্দ বেগবেদার বলেন, “শরণার্থীদের অস্থায়ী শিবিরে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজেইনের অবস্থা সংকটজনক। ফলে, ডায়রিয়া ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি বাড়ছে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে।”
“অন্যদিকে, মায়ানমারে মুখোমুখি সহিংসতার কারণে শিশুরা আতঙ্কিত হয়েছে। তাই, প্রয়োজন শীঘ্রই মানসিক ও বিনোদনমূলক সহায়তা।”
জরুরি অনুদানের মাধ্যমে সরাসরি ২৪ হাজার আটশ রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবার এবং পরোক্ষভাবে ৬০ হাজার শরণার্থীকে নিরাপদ পানি, নারীপুরুষের পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের জন্যে আলাদা শৌচাগার ও স্নানঘরের ব্যবস্থা এবং হাত ধোয়ার সুবিধাসহ অন্য সুবিধা দেওয়া হবে। ইউনিসেফ কর্তৃপক্ষ ওই অনুদান দিয়ে রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সহায়তাও করবে।
তাছাড়াও, ওই সহায়তা সরাসরি আরো পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা শিশুকে সুরক্ষা প্রদান ও পরোক্ষভাবে দুই লাখ দূর্বল শিশুর পরিবারের নিরাপত্তা ও মামলা পরিচালনার ব্যবস্থা করবে।
চলতি বছরের অগাস্ট থেকে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় প্রবেশ করেছে। অনুমান করা হচ্ছে, নবাগত রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশুসংখ্যা ৬০ ভাগের বেশি। যাদের বেশির ভাগই অস্বাস্থ্যকর অস্থায়ী শিবিরে বাস করছে।