উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসূত্রে জানা গেছে, বন্যার পানি স্কুলের আঙিনা ও শ্রেণিকক্ষে ঢোকায় ৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। পানি কমে যাওয়ায় সেগুলো খোলা হয়েছে।
জেলার ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলে, "স্কুলের বারান্দায় বন্যার পানি উঠে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। এতে আমাদের পড়ালেখার ক্ষতি হয়েছে।”
ছকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইভা বলে, "এখন নিয়মিত স্কুলে যাই। বন্যায় অনেক দিন বাড়িতে পড়ালেখা করতে হয়েছে।”
শশার কান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নয়ন বলে, "সামনে সমাপনী পরীক্ষা। বন্যায় স্কুলে আসা বন্ধ ছিল। এখন স্কুলে যাচ্ছি।”
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বাদরুল ইসলাম বলেন, "কয়েক দিন হলো স্কুল খুলেছে। এখনও স্কুলের আশেপাশে বন্যার পানি জমে রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি বেশ ভাল নয়।”
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষার জন্য বাড়তি ক্লাসও করানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান বলেন, "স্কুলগুলোতে এখন স্বাভাবিক পাঠদান চলছে। পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাকি শ্রেণিগুলোর শিক্ষার্থীদের বাড়তি পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের জানানো হয়েছে।”