জানা যায়, এশিয়ার সর্ববৃহৎ গ্রাম বানিয়াচংয়ের এ দিঘিটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দিঘি। স্থানীয়রা জানায়, সরকার পর্যটন কেন্দ্র করার ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাজ শুরু হয়নি।
১৯৯৭ সালের ১৯ অক্টোবর স্থানীয় এল আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় দিঘিটিকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছিল বর্তমান সরকার। অথচ প্রায় দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
পর্যটক নাদিয়া আক্তার বলেন, ‘অনেক দূর থেকে দিঘি দেখার জন্য ছুটে আসতাম। ভালো লাগত। কিন্তু দিন দিন দিঘির অবস্থা খারাপ হচ্ছে। সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে এর সৌন্দর্য্য।’
মিনহাজ উদ্দীন নামে আরেকজন পর্যটক জানান, তার অনেক দিনের আকাঙ্ক্ষা দিঘিটা ঘিরে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে। সে আশা পূরণ হয়নি। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এর দিকে নজর দেবে এতাই তার প্রত্যাশা।
ইমদাদুল হক নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী হ্যালোকে বলে, ‘যদি এ জায়গাটিকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা করে তাহলে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসবে। প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবে। দেশের আয় আর সুনামও বাড়বে।’
লোক সংস্কৃতি গবেষক আবু সালেহ আহমেদ হ্যালোকে বলেন, ‘সরকার যদি আশেপাশের মানুষকে অন্য জায়গায় পুনর্বাসন করে এখানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করে তাহলে দেশেরই আয় হবে।’
তাছাড়া দেশ-বিদেশের লোকজন দেখতে আসবে। সৌন্দর্য্য উপভোগ করবে। দেশের সুনাম হবে বলেও তিনি আশা করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘অনেক বছর আগে সরকারিভাবে দিঘিটি পুনর্খনন করা হয়েছিল। মাছ চাষের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অনেক টাকাও আয় হয়েছিল। কিন্তু পরে দিঘিকে ঘিরে আর কোনো উন্নয়ন করা হয়নি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ হ্যালোকে বলেন, ‘সাগর দিঘি নিয়ে ধিঘির চারপাড়ের মানুষের সঙ্গে হাইকোর্টে মামলা চলছে। রায় যদি সকারের পক্ষে আসে তাহলে একে পর্যটন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা আছে।’