রোহিঙ্গা শিবিরে ইউনিসেফের পরিকল্পনা

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে শরণার্থীদের ডায়রিয়া ও কলেরা আক্রান্তের শঙ্কা বেড়েছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল- ইউনিসেফ এসব পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
রোহিঙ্গা শিবিরে ইউনিসেফের পরিকল্পনা

সম্প্রতি জেনেভার প্যালাইস ডেস নেশানের জন্যে হালনাগাদ করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মায়া ভ্যানডেনান্ট বলেছেন, ‘আমরা দেখছি, মানুষের অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার পাশাপাশি শিশুদের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। সেখানে তীব্র ডায়রিয়া ও কলেরার ঝুঁকি রয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন। তাই স্বাস্থ্যখাতে মনোযোগ দিচ্ছি।’

অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। বৃষ্টির পর, শিবিরের শৌচাগারগুলোর নোংরা পানি সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও জনসংখ্যার ঘনত্বের বিষয়টিও উঠে এসেছে। এসব কারণে রোগের প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বড় ক্যাম্পগুলোর জন্যে গৃহীত পরিকল্পনার বেশিরভাগ বাস্তবায়িত হয়নি। সেখানে স্যানিটেশন ও নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থাও নেই।

তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা হিসেবে নিরাপদ পানি, বেসিক স্যানিটেশন ও হাইজেইন অনুশীলনে নজর দিচ্ছে ইউনিসেফ। রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আবাসনের যেখানে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নেই, সেখানে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্যে তাৎক্ষণিক পানির ট্রাকে করে পানি বিতরণ করছে। দুর্বলতা ও রোগের ঝুঁকি মূল্যায়নের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে তারা।

অস্থায়ী বসতিকে উন্নত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফ তিনশ’র বেশি টিউবয়েল ও তিন হাজার শৌচাগার নিমার্ণ করেছে। অন্যদিকে, দুই হাজার ছয়শ ২৫ টি নতুন নিরাপদ পানি সংগ্রহ পয়েন্ট ও ১৫ হাজার ৭৫০ টি নতুন শৌচাগার, ২১ হাজার হাত ধোবার ডিভাইস বিতরণ, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে নিরাপদ পানি সরবরাহ করাসহ নানান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

সেখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিনিউটিতে রোগ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্যে শৌচাগারগুলো পরিষ্কার করা ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ ও সচেতনতার লক্ষ্যে নিরাপদ পানি ব্যবহারের সচেতনামূলক বার্তা প্রচার চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসার প্রতিও নজর দিয়েছে তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ উল্লেখ করেছে, ২৫ অগাস্ট থেকে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার নতুন রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে প্রবেশ করেছে। সেখানের ৬০ ভাগ শিশু এবং ৬০ ভাগের অর্ধেক শিশু পাঁচ বছরের কম বয়সী। নতুন শরনার্থীদের মধ্যে দুই লক্ষ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা, পরিকল্পনার অভাবে পানি ও স্যানিটেশন সংকট আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করছে।  

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com