সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল হলেই এসব জায়গায় বসে আড্ডা। বাদামের খোসা, আইসক্রিম, চিপসের প্যাকেট, কোকের খালি ক্যান ফেলে রাখে।
বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে এই ধরনের সংবাদ প্রায়ই চোখে পড়ে।
শহরের আশ্রমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “শহীদ মিনারে জুতা পরে ওঠা মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়। আমি এ বিষয়টি প্রশাসনকে দেখার জন্য জোর অনুরোধ করছি।”
শহরের আর্ট গ্যালারি সংলগ্ন জলেশ্বরী তলার বাসিন্দা মো. কাশেম আলী বলেন, "মাঝে মাঝে অপরাজেয়-৭১ এ যাই। দেখি অনেকেই জুতা পরে উঠছে।”
গোবিন্দনগর এলাকার বাসিন্দা আবুল খায়ের বলেন, “৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের শহীদ মিনার। আমাদের এটাকে সম্মান করা উচিত।”
আড্ডা দেওয়ার সময় জুতা পরে সৌধে ওঠার কারণ জানতে চাইলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল হ্যালোকে বলেন, "আসলে এটা একটা চেতনার বিষয়। এই চেতনাটা আরো বেশি জাগ্রত হবে মানুষের মধ্যে এবং আমার মনে হয় যে আমাদেরকে আর আইন প্রয়োগ করতে হবে না। মানুষ তার নিজের সচেতনতা থেকেই এখানে জুতা পরে উঠা বন্ধ করবে।”