ব্যাংকিং খাতে এটি এক নতুন দিগন্ত বলে মনে করছেন শিক্ষকরাও।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
ফারহানা সুলতানা নামের এক শিক্ষার্থী বলে, “লক্ষীঘটে (মাটির ব্যাংকে) টাকা পয়সা জমিয়ে রাখি। কিন্তু এখন স্কুল ব্যাংকিং করব।”
সানজিদা সুলতানা নামের আরেক শিক্ষার্থী জানায়, বাবা-মা ও আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে পাওয়া টাকাপয়সা ও লক্ষীর ঘটেই রাখে। এছাড়া স্কুলের টিফিনের বেঁচে যাওয়া টাকা পয়সাও লক্ষীঘটেই রাখে।
এ ধরনের সঞ্চয় পদ্ধতি ঐতিহাসিক ও জনপ্রিয়। প্রাচীন কাল থেকেই এ ধারা চলে আসছে। একসময় বাঁশের খুঁটির ভেতর সঞ্চয় করার প্রচলন ছিল। এমন কী বালিশের মধ্যে টাকা রাখার কথাও শোনা যায়।
এ ব্যাপারে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক মো. সাহিদুর রহমান বলেন, “সঞ্চয়ের উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো ভুল এবং বিভ্রান্তিকর। এখন শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হয়েছে স্কুল ব্যাংকিং সেবা। বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাভুক্ত সব ব্যাংকেই এ সেবা চালু রয়েছে। ধীরে ধীরে এ পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।”
তিনি মনে করেন, প্রচারণা ও সচেতনতামুলক কার্যক্রম এগিয়ে নিলে অনেক শিশু কিশোর এ লাভজনক ও খরচবিহীন সঞ্চয় পদ্ধতির আওতাভুক্ত হবে।