কলেজটি স্থাপিত হয় ১৯৫৯ সালে এবং জাতীয়করণ হয় ১৯৮০ সালে। এইচএসসি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ানো হয় এই কলেজে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় হাজার খানেক। এত বছরেও কলেজে কোনো ক্যান্টিন নাই বলে অভিযোগ রয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. হাসিবুল হাসান শান্ত বলেন, ‘ খুব সকালে কলেজ আসি বলে নাস্তা খাওয়া হয় না। একনাগাড়ে চার পেরিয়ড ক্লাস করার পর খুব খিদে লাগে। অনেক দিন দুই পেরিয়ড ক্লাস করেই বাড়ি চলে যাই।
একই ক্লাসের প্রথম বর্ষের ছাত্রী শিরিন বলেন, ‘বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাইভেট পড়ে তারপরই কলেজ। ছুটির আগে ক্লাসের মাঝখানে কোনো ব্রেক নাই। ক্যান্টিন না থাকায় বাইরের ভাজাপোড়া খাই। যা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।’
ছোঁয়া নামের মাধ্যমিকের আরেক ছাত্রী জানান, বড়দের কাছে শুনেছেন, অনেক আগে নাকি একটা ক্যান্টিন ছিল।
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া মণ্ডল ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘কলেজ স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই কোনো ক্যান্টিন ছিল না।’
বিষয়টি নিয়ে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন।