৬৮ বছরের অধিকার বঞ্চিতগুলোর একটি কুড়িগ্রামের দাশিয়ারছড়া। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে ফুলবাড়ি উপজেলার সাড়ে সাত বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে এই দাশিয়ারছড়া। লোকসংখ্যা প্রায় সাত হাজার।
স্কুল না থাকায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে গিয়ে মিথ্যে নাগরিক পরিচয় দিয়ে পড়াশোনা করত এখানকার কিছু ছেলে-মেয়ে। তাই পড়াশোনার বদলে বাল্য বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হতো মেয়েদের, জানান এলাকাবাসী।
স্কুল না থাকায় এ জনপদের প্রবীণরা লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। এলাকাটি ২০১৫ সালের ১ অগাস্ট বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে এখানকার জীবনযাত্রা।
বর্তমানের শিশুরা শিক্ষার সুযোগ পাওয়ায় প্রবীণরা খুব খুশি।
এখন এই জনপদে সরকারিভাবে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর বেসরকারিভাবে তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি মহাবিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা গড়ে উঠছে।আটটি কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে প্রাক-প্রাথমিকের পাঠ। তবে আসন সংখ্যা ও আসবাবপত্রের সংকট রয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা জানায়।