মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পেয়ে গ্রামীণ মানুষের জীবনে স্বস্তি এসেছে বলে জানান প্রসূতিরা।
তাদের একজন জানান, মাসে মাসে চেকাপ করানো হয় তাকে। বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হয়।
একজন মা বলেন, “বাচ্চা হওয়ার আগে চার বার এবং বাচ্চা হওয়ার পর বাচ্চাসহ মাকে চেকাপ করা হয়।”
কথা হয় রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে। একজন বলেন, “মা চাচিরা আগে কষ্ট করতেন অনেক। কিন্তু এখন এসব ক্লিনিকে সহজেই সেবা পাওয়া যায় বলে মায়েরা নিরাপদ।”
পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মাঠ কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মায়েদের সচেতন করছেন আর তাদের খাবার ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচতন করে তুলছেন বলে কর্মীরা জানান।
কমিউনিটি ক্লিনিকের এক চিকিৎসক জানান, গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক হওয়ায় এবং মায়েদের সচেতনতায় মা ও শিশু মৃত্যুহার কমেছে।
ঠাকুরগাঁও পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক তারিকুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমানে ৯৫ ভাগ গর্ভবতী মা স্বাস্থ্য সেবার আওতায় রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অবকাঠামো বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ও ওষুধ সরবরাহ বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জরুরি প্রসূতি সেবা প্রদান, মিডওয়াইফারি কোর্স, গরিব ও দুস্থ মায়েদের জন্য মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম, কমিউনিটি ভিত্তিক স্কিল্ড বার্থ অ্যাটেনডেন্ট প্রশিক্ষণ, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি ও টিকাদান কর্মসূচি, ইপিআই-এ জরুরি প্রসূতি সেবা নিচ্ছেন বলে অনেক গর্ভবতী মা ও অভিভাবকরা জানিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে ৫৩টি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা, একশ ৪৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি আধুনিক সদর হাসপাতাল, একটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সূত্র মতে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী সাত হাজার চারশ ৭২ জনকে সেবা দিয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সংকট থাকায় গর্ভবর্তীদের সঠিক সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।