খেলোয়াড় সুশান্ত (১৩) বলে, ‘গ্রামের বড়দের কাছ থেকেই লাঠি খেলা শিখেছি। এখনো শিখি। অনেক ভাল লাগে খেলতে আর বেশি মানুষ হলে খেলা দেখিয়ে মজা পাই।’
প্রবীণ খেলোয়াড় আন্তা ফকির হ্যালোকে বলেন, ‘লাঠি খেলা অনেক পুরান খেলা। নানা রকমের লাঠি খেলা আছে। তার মধ্যে ঘোড়া খেলা, ঢেঁকি খেলা, জমি দখল এগুলোই জনপ্রিয়।
‘বেশি ভাল লাগে যে এখনও আগের মতোই মানুষ লাঠি খেলা দেখতে আসে।’
সোমবার বিকেলে লাঠি খেলা দেখতে জমিদার বাড়ির মাঠে ভিড় করে শিশুসহ শত শত মানুষ।
খেলা দেখতে আসা আব্দুর রশিদ (৭০) হ্যালোকে বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই এই মাঠে লাঠি খেলা দেখতেছি। অনেক পুরান খেলা এখনও আগের মতোই মজা লাগে।’
বাবার সাথে খেলা দেখতে আসা রিয়া (৯) বলে, ‘ঈদের দিন বাবার সাথে খেলা দেখতে আহি। ঢোল বাজিয়ে লাঠি খেলা হয়। খুব মজা লাগে দেখতে।’
খেলা দেখতে এসে আসা মানিক মিয়া (১৫) বলে, ‘ঈদে বেড়ানোর, মজা করতে যাওনের জায়গা নাই। তাই লাঠি খেলা দেখতে চলে এসেছি এই মাঠে।’
কথা হয় পাকুল্ল্যা জমিদার বাড়ীর সদস্য এবং জামুর্কী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেলের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘কবে থেকে এই লাঠিখেলা শুরু হয়েছে, ঠিক বলতে পারব না। তবে আমার দাদা আলী আহমদ খাঁন চৌধুরীর সময়েও আমাদের বাড়ির মাঠে লাঠি খেলা দেখেছি।
‘ঈদের দিন এলাকার মানুষের আগ্রহ আর ভালোলাগা থেকেই এখনও এই আয়োজন করতে আগ্রহী হই।’
নিজের পরিবার ও গ্রামীণ ঐতিহ্য লালন করতে এবং ঈদের দিন এলাকার মানুষকে আনন্দ দিতেই এই আয়োজন করেন বলে তিনি জানান।