বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।
এতে শিশুকেন্দ্রিক বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। প্রবৃদ্ধির হার হিসেবে যা ২১.৪ শতাংশ।
এ বছর তৃতীয়বারের মতো শিশুকেন্দ্রিক বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। যেখানে তিনি ছয়টি মন্ত্রণালয় ও সাতটি বিভাগের জন্য এ বাজেট প্রস্তাব করেন।
বাজেট বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, “দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু। শিশুদের উন্নয়নকে জাতীয় পরিকল্পনা ও বাজেট কার্যক্রমের মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য আমরা বিগত দুইটি অর্থবছর ধরে শিশু বাজেট প্রণয়ন করছি।”
বিগত বছরকে চলতি বছরের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “শিশুকেন্দ্রিক প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলোর চেষ্টা বেড়েছে বলেই শিশুকেন্দ্রিক কার্যক্রমের বরাদ্দের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।”
অর্থমন্ত্রী ভ্যাটের সঙ্গে আরও ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিশু পণ্যের দাম বাড়তে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আইসক্রিম, চকলেট, পটেটো চিপস, ওয়েফার, খুচরা প্যাকিংয়ের গুঁড়ো দুধ (আড়াই কেজি পর্যন্ত), শিশুদের পোশাক।
চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপনের একদম শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, যেভাবে ব্যয় পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে ২০২১ সালের আগেই চরম দারিদ্র্যকে বিদায় করতে চান তিনি।
ইংরেজ কবি রবার্ট ফ্রস্টকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “…..miles to go before I sleep.”
বাংলাদেশের ৪৬ তম বাজেট প্রস্তাব এটি। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে গণ পরিষদে উপস্থাপন করা হয়েছিল ইতিহাসের প্রথম বাজেট।