খেলাহীন শৈশব

ডাংগুলি, হা-ডু-ডু, ওপেনটি বায়োস্কোপ কখনও খেলেছে কি না তা নিয়ে কথা হয় ঢাকায় বসবাস করা কয়েক জন শিশুর সঙ্গে।
খেলাহীন শৈশব

সাহিমুজ্জামান নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘মোবাইলেই এখন আমি নিয়মিত গেইম খেলি। খেলার সঙ্গী নেই বলে মাঠে যাই না। স্কুলের মাঠ নাই, এলাকার মাঠে বাবা-মা খেলতে দিতে চান না।’

স্কুলে মাঠেও খেলা হয় না রাণির। ও বলে, “খেলতে খুব ইচ্ছা করে কিন্তু পড়ালেখার অনেক চাপ আর স্কুলের মাঠ নাই।’

বাচ্চারা এখন কম খেলাধুলা করে। স্কুল আর বাড়ি এই করতে গিয়ে তারা মোটা হয়ে যাচ্ছে, মন্তব্য করেন হাবীবা বেগম নামের একজন মা।

কেরানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের ক্রীড়া ও শরীরচর্চা বিষয়ক শিক্ষক সুরাইয়া খানম হ্যালোকে জানালেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা অপরিহার্য। স্কুল কলেজগুলোতে শুধু ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলা প্রতিযোগিতা হয়। এ কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে দেশের অনেক খেলাধুলাই অচেনা।

দেশীয় খেলাধুলা স্কুল কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত করলে শিক্ষার্থীরাও মজা পাবে, হারিয়ে যাবে না এসব প্রাচীন খেলা, বলেন তিনি।   

কেরানীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মহিলা ও শিশু বিষয়ক ডাক্তার রাশিদা মাহফুজা হ্যালোকে বলেন, ‘শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশের জন্য উন্মুক্ত পরিবেশে ন্যূনতম আধঘণ্টা খেলাধুলা করা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, “আমার কাছে রোগী এলে আমি অভিভাবকদের এসব পরামর্শ দেই।”

স্মৃতিচারণ কতে গিয়ে এলাকার একজন প্রবীণ মানুষ বললেন, “আমরা ছেলেবেলায় অকারণেই ছোটাছুটি করতাম। দল বেঁধে মাঠে বন্ধুরা একসাথে খেলতে যেতাম। আর সন্ধ্যার আগেই ধুলা মেখে ঘরে ফিরে পড়তে বসা, এই ছিল আমাদের রুটিন।”

এখনকার শিশুরা শৈশবের আনন্দ থেকে একেবারেই বঞ্চিত, হতাশার সঙ্গে বলেন তিনি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com