বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সহযোগিতায় শনিবার এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দুই দেশের হাজার হাজার পরিবার। কাঁটাতারের বেড়া কাউকে স্পর্শ করতে না দিলেও চোখের দেখাতেই ছিল যেন প্রশান্তি।
ঠাকুরগাঁও জেলার জগদল, ধর্মগড়, ডাবরি সীমান্তবর্তী এলাকার শূন্য রেখায় দুই বাংলার এই মিলনমেলা বসে। ১৫ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ছিল ওই মেলা।
স্বজন ও পরিজনকে দেখে আবেগে কেঁদে ফেলেন অনেক মানুষ।
হরিপুর উপজেলার কাড়িগাঁও গ্রামের আঞ্জুমান বাবা-মাকে দেখে কেঁদে ফেলেন।
আঞ্জুমান বাবার জন্য লুঙ্গি-পাঞ্জাবি আর মার জন্য শাড়ি এনেছিলেন। বেড়ার উপর দিয়ে ছুঁড়ে দেওয়ার সময় তার চোখে জল ছিল।
এদিকে একই উপজেলার মীনাপুর গ্রাম থেকে লাঠির উপর ভর দিয়ে ভাইদের এক পলক দেখার জন্য এসেছেন ষাটোর্ধ্ব সাহেরা বেগম। সঙ্গে এনেছেন রুটি, পায়েস ও গরুর মাংস।
সাহেরা বেগম বলেন, “ভাইকে অনেক দিন ধরে দেখি নাই। আর মেলাতে গেলেই দেখা হয় তাদের সাথে। ভাই গরুর মাংস পছন্দ করে।”