বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলোতে ভোট গ্রহণ হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের মতো পীরগঞ্জ উপজেলার ৬২টি মাধ্যমিক, ১৬টি নিম্ন মাধ্যামিক ও ১০টি দাখিল মাদ্রাসায় স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন হয়েছে।
সরেজমিনে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ করে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছে। নির্বাচনের সব আচরণ বিধি মেনে শিক্ষার্থীরা ভোট দেয়। আর এই নির্বাচন পরিচালনায় সার্বিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষকরা।
দশম শ্রেণির ছাত্র রিয়াজ রামিন বলে, “আমি যদি কেবিনেট সদস্য নির্বাচিত হই তাহলে বিদ্যালয়কে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করব এবং স্কুলের সার্বিক উন্নয়নে সাহায্য সহযোগিতা করব।”
১৮ বছর বয়সের আগেই প্রথম বারের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার অনুভূতি অসাধারণ বলে জানায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র লাবণ্য।
ও বলে, “জীবনে প্রথম বারের মতো ভোট দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। পছন্দের প্রার্থীকেই গোপনে ভোট দিয়েছি। নিজেকে ভোটার ভোটার মনে হচ্ছে এখন।”
নির্বাচনে দাঁড়ানো মনিরা আক্তার জানায়, ও প্রথম বারের মতো নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
মনিরা বলে, “সবাই যদি এখন আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে তাদের বিপদে-আপদে আমি পাশে থাকব।”
সোমা রায় নামে আরেক প্রার্থী বলে, “আমাদের স্কুলে বাগান নেই। আমি নির্বাচিত হলে স্যারদের সহযোগিতা নিয়ে স্কুলে বাগান করব।”
নির্বাচনের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল হক বলেন, “এই নির্বাচনের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্র সম্পর্কে ধারণা পাবে। তারা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে লাগবে বলেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এ বিষয়ে মুঠোফোনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুল্লাহ্ জানান, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গোপন ব্যালটের ভোটে পাঁচ শ্রেণি থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবে। এরপর যে কোনো তিন শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া তিনজনকে নিয়ে আট সদস্যের এক বছর মেয়াদি স্টুডেন্টস কেবিনেট গঠন করা হবে।