এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আশেপাশের আট গ্রামের মানুষ বর্ষাকালে নৌকা এবং খরা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, রানীশংকৈল উপজেলার বিরাশি ও রাউতনগর বাজারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ১৯৮২ সালে কুলিক নদীর উপর রাউতনগর স্লুইস গেট কাম ওভারব্রিজ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ১৯৮৭’র বন্যায় এটি ভেঙে পড়লে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বিরাশি, রসুলপুর, বরমপুর, রাউতনগরসহ আশপাশের গ্রামের মানুষকে।
রসুলপুর গ্রামের গৃহবধু আয়েশা বেগম জানান, বর্ষাকালে তাদের নৌকায় করে নদী পার হতে হয়। শিশুদের জন্য দুশ্চিন্তা হয়।
সলেমান আলী, নজরুল ইসলাম, মখলেসুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন পথচারী জানান, বর্ষাকালে ভোগান্তি হয়। হাট-বাজার, স্কুল ও কলেজ সব জায়গাতে পৌঁছাতে দেরি হয়।
সলেমান আলী বলেন, ‘আশপাশের গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা কোন গর্ভবতী নারীকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া যায় না। ভ্যানগাড়িতে করে নদীরপাড়ে এসে বর্ষাকালে নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আর শুকনা মৌসুম হলে সাঁকোর উপর দিয়ে রোগী পার করা কষ্ট হয়ে যায়।”
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, রাউতনগর বাজার অথবা উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের রাস্তা এটা। সেতু না থাকায় সাত থেকে আট কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। নৌকা পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটলেও আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাননি এলাকার মানুষ।
মমেন আলী নামে এক বৃদ্ধ জানান, নির্বাচন এলেই সেতু তৈরি করে দেওয়ার কথা বলে নানান দলের প্রার্থীরা। ভোট শেষ হয়ে গেলে সব শেষ। কেউ আর কথা রাখেন না।
তিনি বলেন, ‘মেম্বার, চেয়ারম্যান ও এমপির কাছে গিয়েও কোন কাজ হয়নি। বর্তমান এমপি ইয়াসিন আলী বলছেন, ‘ব্রীজ হবে। কিন্তু কোন ভরসা পাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও তিন আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসিন আলী বলেন, ‘আমি বিষয়টি একাধিকবার সংসদে তুলে ধরেছি। কিছুদিন আগেও আমি ব্রিজটির কথা বলেছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। একনেকে পাস হলেই হয়ে যাবে হয়তো।’