ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল জেলায়।
টাঙ্গাইল কালেক্টরেট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে পড়ুয়া লাভলী আক্তার হাতে লেখা ঐ চিঠিতে জানায়, ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার বাবা বাল্যবিয়ে দিতে চাচ্ছেন। এজন্য তাকে জোর করে গ্রামের বাড়ি গোপালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।
১৪ মার্চ টাঙ্গাইল জেলাপ্রশাসকের উদ্দেশ্যে লেখা ওই চিঠিতে সে আরও লিখে, “বিনীত প্রার্থনা, এই যে আমার এই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে বাধিত করবেন।”
বাংলাদেশ এডমিনিসট্রেটিভ সার্ভিস নামের একটি ফেইসবুক পাতায় চিঠির ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘‘খুব ভাল লাগল চিঠিটা দেখে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সচেতন হচ্ছে, তারা শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। বাবা-মাকে অনেক অনুনয় করেও যখন বোঝাতে ব্যর্থ তখন শেষ উপায় হিসেবে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছে।”
“যথারীতি তার বাল্যবিবাহ বন্ধও হয়েছে। জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল বাল্যবিবাহ বন্ধ করে বাবা মায়ের মুচলেকা নিয়েছেন এবং শিক্ষা চালিয়ে নেবার নিশ্চয়তা বিধান করেছেন।’’
সবশেষে লেখা হয়, ‘‘স্যালুট এই সাহসী ও সচেতন মেয়েকে। স্যালুট জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইলকে। চলো_বাংলাদেশ।’’
এ বিষয়ে মুঠোফোনে ‘হ্যালোকে’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন।