সরেজমিনে দেখা যায়, ছুটি হয়ে গেলেও অনেকেই শহীদ মিনারে বসে আড্ডা দিচ্ছে। পায়ের জুতা নিয়ে ভাবান্তর নেই কারো।
কথা হয় নবম শ্রেণি পড়ুয়া আকাশের সাথে। ও হ্যালোকে বলে, “সবাই জুতা পায়েই উঠে। তাই আমিও উঠি।”
স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও বাইরের অনেকেই বিকেল এই স্কুল মাঠে ঘুরতে আসে। তাদেরকেও এই বিষয়ে অসচেতন মনে হলো।
জেসমিন নামে এক কলেজ ছাত্রী জানান, শহীদ মিনার পরিষ্কার থাকে না। তাই বাধ্য হয়েই জুতা নিয়ে উঠেন তিনি।
তিনি বলেন, “ কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার করে নজরদারিতে রাখুক। তাহলেই তো হয়।”
শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার্থে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট আট দফা নির্দেশনা জারি করে আদালত। নির্দেশনায় শহীদ মিনারের মূল বেদিতে সভা-সমাবেশ, পদচারণ, অনশন কর্মসূচি, ভবঘুরেদের আনাগোনাসহ সব ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা এবং সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা করতে পূর্ত মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় ঠাকরগাঁও জেলা প্রসাশক আব্দুল আওয়ালের।
তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমরা অতি দ্রুত পদক্ষেপ নেব। কেউ যেন জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নজরদারি লাগবে।”
শুধু বিশেষ দিন নয়, সব সময় শহীদ মিনার পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থাও করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।