বাঁশের সাঁকোয় ভরসা তিন ইউপির মানুষের

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মনু নদীতে সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তিন ইউনিয়নের লোকদের।
বাঁশের সাঁকোয় ভরসা তিন ইউপির মানুষের

শরীফপুর, হাজীপুর ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নে লক্ষাধিক লোক বাস করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৃথিমপাশা ইউনিয়নে মনু নদীর রাজাপুর খেয়াঘাটে তিনশ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসীরা। প্রতিবার খেয়াঘাট পার হতে ঘাটের ইজারাদারকে জনপ্রতি পাঁচ টাকা করে দিতে হয়।

জানা যায়, তবে বর্ষাকালে সাঁকো ডুবে গেলে খেয়া নৌকাই তাদের পারাপারের একমাত্র বাহন। সড়ক পথে রাজাপুর থেকে উপজেলা সদরে যেতে ২০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়।

পৃথিমপাশার গজভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ডলি বেগম হ্যালোকে বলে, "আশেপাশে কোনো স্কুল না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়।"

"সাঁকো পার হওয়ার সময় পা পিছলে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হই।"

একই স্কুলের আরেক শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বলে, "বর্ষাকালে নদীর পানির স্রোত বেশি থাকলে নৌকা দিয়ে নদী পার হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওই সময় আমাদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ থাকে।”

রাজাপুর এলাকায় সেতু নির্মাণ হলে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি শিক্ষা, কৃষি শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে বলে প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

পৃথিমপাশার গজভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, "যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের। এ কারণে তারা সঠিক সময়ে স্কুলে আসতে পারে না।"

অবিলম্বে মনু নদীতে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এই স্কুল শিক্ষক।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনের এমপি মো. আব্দুল মতিন হ্যালোকে বলেন, "এ বিষয়ে অবগত আছি। শিগগিরই রাজাপুর খেয়াঘাটে ব্রিজ নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com