শনিবার সকালে কালী পুজা, শিব পুজা ও পাঠা বলিদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মেলা। ভোর থেকেই নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধসহ হাজারো দর্শনার্থী আসতে শুরু করে মেলায়।
মেলায় নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা। খেলনার দোকান, মাটির তৈরি বাসন, ফল, মিষ্টি আর কত কী।
শিশুরা মেতেছে উৎসবে। দীপান্বীতা নামের পাঁচ বছরের এক শিশুর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
ও বলে, "মায়ের সাথে মেলায় আসছি খুব ভালো লাগছে।"
দীপান্বীতার পাশেই হাত ভর্তি খেলনা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ঋতু। মেলায় কেমন লাগছে জিজ্ঞেস করতেই বলল, “মা অনেক খেলনা কিনে দিয়েছে।”
ফাতিমা এসেছে বোনের সঙ্গে। বাঁশি আর বেলুন কিনে খুব খুশি ও।
ফাতিমা নামের এক শিশু বোনের সাথে মেলায় এসেছে। ও কিনেছে বাঁশি ও বেলুন। সবাই কেনাকাটা করলেও এক পাশে চুপচাপ বসে আছে শিশু পলাশ। কারণ জানতে চাইতেই বলল, “এখনও পুজাটা দেওয়া হয়নি। দিয়েই কেনাকাটা করব।”
দুইশ বছরের পুরনো মন্দির দেখে অবাক টিপু সুলতান। বলল, “বেশ ভালো লাগছে।”
মেলায় আসতে পারে খুশি বড়রাও। মোঃ. বাবুল নামের একজন বলেন, "ছেলেমেয়েদের নিয়ে মেলায় আসছি। ছেলে মেয়েরাও আনন্দ করল, আমারও ভালো লাগছে।”
মেলায় ভালোই বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে মো. জসিম নামের এক খেলনা বিক্রেতা বলেন, "মেলায় খেলনা বিক্রি করছি, মাটির জিনিসপত্র বিক্রি করছি। ভালো বিক্রি হচ্ছে।”
মেলা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ১২০৮ বঙ্গাব্দে দয়াময়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছরই এখানে মেলা হয়। আগে এই মেলা এক মাস ব্যাপী হলেও এখন মাত্র একদিন হয়।”
মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী বিমল চন্দ্র সমাদ্দার বলেন, "মেলা উদযাপন করতে পেরে আমি খুবই খুশি। মেলায় সবাই আনন্দ করছে। বেশ ভালো লাগছে।”