তাদের অভিযোগ, কোচিং সেন্টারে যাওয়া আসার পথে বখাটেরা পথরোধ করে দাঁড়ায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানায়, “কোচিং শুরু আগে ও পরে কিছু বখাটে ছেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। পিছু নিয়ে এক সময় পথরোধ করে দাঁড়ায়।
“এরপর নাম জিজ্ঞেস করে, প্রেম নিবেদন। এছাড়া মোবাইল নম্বর চাওয়া তো আছেই।”
প্রতিনিয়ত এমন হয়রানীর শিকার হয়েও বাড়িতে জানানোর সাহস পায়নি তারা।
এ বিষয়ে আরেক শিক্ষার্থী জানায়, বিষয়টি জানার পর মা বাবা চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপ করতে পারেন। এই ভয়েই জানানো হয় না।
সারাদেশে বখাটেদের বিভিন্ন হামলার খবরে আতঙ্কিত আরেক শিক্ষার্থী বলে, “ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারি না। রিসার কথা ভুলে যাইনি।”
তবে নিজেদের সুরক্ষায় তারা দলবেঁধে চলাচল করে বলে জানাল আরেক জন।
ও বলে, “বান্ধবীরা একসঙ্গে থাকলে ভয় লাগে না।”
তবে সন্তানকে কোচিং থেকে নিতে আসা অভিভাবক দীপেন রায়ের সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
তিনি বলেন, “আগে মেয়ে একাই আসত পড়তে। কিন্ত এখন আর সাহস পাই না। নিজেই প্রাইভেটে নিয়ে যাই, বাড়ি নিয়ে আসি। একটু কষ্ট হচ্ছে কিন্তু দুশ্চিন্তা থাকে না।”
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, “উত্যক্তের অভিযোগ পেলে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। এখন থেকে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। এছাড়াও আমাকে ফোনে সরাসরি এইসব বিষয়ে অভিযোগ করলে আমি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেব।”
২০১৬ সালে বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় বখাটেদের হাতে ছাত্রী উত্যক্ত, হামলা ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়। খবরে জানা যায়, বখাটেদের প্রেমে সাড়া না দেওয়া এবং প্রতিবাদ করার কারণেই হামলা করা হয়েছে।