শিশুপ্রহর নিয়ে অভিযোগ অভিভাবকদের

মেলার শিশুপ্রহরে দর্শকের উপস্থিতি বেশি থাকলেও নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা।

শুক্রবার মেলা ঘুরে শিশু ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর প্রতিবেদকের।

মেয়ে আদ্রিতাকে নিয়ে মিরপুর থেকে মেলায় এসেছেন রোকসানা পারভিন।

তিনি বলেন, "শিশুপ্রহর তিন ঘণ্টা। আমি একঘণ্টা দেরিতে এসে মেয়েকে পাপেট শো দেখাতে পারলাম না। এর মধ্যেই হালুম-টুকটুকি চলে গেছে শুনলাম।"

বাচ্চার জন্য উপযুক্ত তেমন কিছুও পাননি বলে জানান তিনি।

আরও বলেন, "টিভিতে দেখলাম যে বাচ্চারা অনেক মজা করছে। সেটা দেখেই মেয়েকে নিয়ে আসলাম।

"নামমাত্র শিশুপ্রহরের দরকার কী?"

তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া আদ্রিতা বলে, "আম্মু আমার কথা রাখেনি। কিছুই দেখতে পারলাম না।

"বই মেলায় আসব বলে সকাল সকাল পড়তে বসেছিলাম।"

এসময় শিশু চত্বরের বটতলায় হালুম-টুকটুকির মঞ্চে শিশুদের লাফালাফি করতে দেখা গেছে।

কথা হয় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জোবায়েরের সঙ্গে।

ও বলে, "একটি পানির ফোয়ারা ও সিসিমপুরের কয়েকটা পাপেট ছাড়া কিছুই নেই এখানে।"

নুরুন্নাহার নামের একজন অভিযোগ করেন তথ্য কেন্দ্র নিয়ে।

তিনি বলেন, "শিশুদের বইয়ের স্টল খুঁজে পাচ্ছিলাম না বলে তথ্য কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি কেউ নেই।

"পুলিশদের জিজ্ঞেস করলাম। তারা জানালেন নামাজের জন্য নাকি স্টল বন্ধ। শিশুপ্রহর মাত্র তিন ঘণ্টা। এরমধ্যে যদি আধাঘণ্টা ৪৫ মিনিট বন্ধ থাকে তাহলে কীভাব হবে।"

বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে গিয়ে খালি পড়ে থাকতে দেখা যায় তথ্য কেন্দ্র। চেয়ারগুলো একটার উপর আরেকটা ভাঁজ করে রাখা হয়েছে।

শিশুপ্রহর নিয়ে প্রকাশনা সংস্থাগুলোরও ছিল হতাশার সুর।

একাধিক বিক্রেতা জানান, এটা শিশু চত্বর তা বোঝার উপায় নেই। আকর্ষণীয় সাজসজ্জা নেই, প্রচার নেই। শিশুরা আকৃষ্ট হচ্ছে না। অনেকে নিয়ম মাফিক শুধু বাংলা একাডেমী থেকে ঘুরে চলে যাচ্ছেন।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com