বুধবার সকালে ‘অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় তাদের বাড়ি দেওয়া হয়।
'বীর নিবাস' নামে বাড়িগুলোর চাবি হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রকৌশলী তাজমিল খান মিলু।
সম্মাননা পাওয়ার পর হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় মুক্তিযোদ্ধা গজেন্দ্র নাথ রায়ের।
নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের গজেন্দ্র নাথ রায়। তখন বয়স ছিল ১৪ বছর। ছয় নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছেন তিনি।
যুদ্ধের পর ১৯৮১ সালে পল্লীচিকিৎসকের ট্রেনিং নেন। এরপর গ্রামের বাজারে টেবিল-চেয়ারে বসে খুচরা মূল্যে ঔষুধ বিক্রি করে সংসার চালান বলে হ্যালোকে জানান তিনি।
সম্মাননা পাওয়ার ব্যাপারে তিনি হ্যালোকে বলেন, "বাড়ি পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করিনি। দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্যই যুদ্ধ করেছিলাম।
"দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে বেড়ার ঘরে কষ্ট করে দিন কাটাতাম। সরকারকে ধন্যবাদ।"
তিনি হ্যালোর কাছে যুদ্ধের একটি ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, "যুদ্ধের সময় প্রাণ হারিয়েছেন অনেক সহযোদ্ধা।
"একদিন সম্মুখ যুদ্ধে আমার বাম পাশে থাকা এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে চোখের সামনেই মারা গেল।
"তবুও আমি ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসিনি। যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছি। দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি।"
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই পাঁচটি বাসভবন ৩৭ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন বলে জানা গেছে।