অপ্রাপ্তবয়সে গর্ভধারণ করলে কিশোরীর মেরুদণ্ডে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, যা কখনোই না সারার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত।
কিশোরী মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি বর্ণনা করতে গিয়ে এই চিকিসক হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“একজন শিশুর দুই বছর পর্যন্ত তার মায়ের যত্নের খুব প্রয়োজন হয়। একজন শিশুর পক্ষে এটি সম্ভব হয় না কারণ সে নিজেই তখন প্রাপ্তবয়স্ক না। শিশু বয়সে কোনো নারীর যদি বাল্যবিয়ে হয় বা সে গর্ভধারণ করে তখন তার জারায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একজন শিশু যখন আরেকটি প্রাণ ধারণ করবে তখন প্রথমত তার রক্ত শুন্যতা হবে।”
শুধু নারীই না, বাল্যবিয়ের হলে পুরুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানান এই চিকিৎসক।
তিনি বলেন, “বাল্যবিয়েতে পুরুষদের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের তার শিশু স্ত্রী ও তার সন্তানের ভরণপোষণ সম্ভব হয় না, তখন তারা অপুষ্টিতে ভোগে। তার মানসিক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভবনাও তৈরি হয়।”
অপ্রাপ্তবয়সে গর্ভাবস্থার ঝুঁকি আলোচনা করতে গিয়ে ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন,“নয় মাস গর্ভধারণের পরে তার মেরুদণ্ডের মাসলের উপর প্রভাব পড়বে। যেটি কখনোই না সারার সম্ভবনা রয়েছে। বিভিন্ন ইনফেকশন হওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়াও তার বাচ্চাটির অপুষ্টিতে ভোগার সম্ভবনা রয়েছে।”
বাল্যবিয়ের হাত থেকে শিশুদের বাঁচাতে রাজনৈতিক, গণমাধ্যমকর্মী, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক সবাইকেই বাল্যবিয়ের কুফল তুলে ধরা উচিত বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।
বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলছিলেন, “আমি যেহুতু একজন চিকিৎসক আমার কাছে অনেকেই আসেন পরামর্শের জন্যে আমি তাদের বাল্যবিয়ের কুফলগুলো জানাই। এবং কেউ যদি বাল্যবিয়ে করে সে যেন সন্তান ধারণ না করে সেই বিষয়ে সচেতন করি।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: বাগেরহাট।