'দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়া দরকার। ক্লাসের বাইরে আর ভালো লাগছে না। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে স্কুল ছুটি হয়ে গেল'
Published : 02 Aug 2024, 12:04 AM
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার মাঝে বন্ধ হয়ে পড়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৪ অগাস্ট থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার ঘোষণা এলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি।
এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চাওয়ার কথা জানায় অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষকরাও বলছেন সরকারি নির্দেশনা পেলে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
নীলফামারীর একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া আক্তার মিম। হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই শিক্ষার্থী বলে, “আমাদের এখন মূল্যায়ন চলছে। এর মধ্যে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে। পড়াশোনা হচ্ছে না, এতে আমাদের মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব স্কুল খুলে দেওয়া উচিত।”
মাধ্যমিক স্কুল দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়ার দাবি ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিফুল ওয়াদুদ মাহিয়ানের। হ্যালোকে সে বলে, “দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়া দরকার। ক্লাসের বাইরে আর ভালো লাগছে না। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে স্কুল ছুটি হয়ে গেল।”
ডোমার উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রাসেল ইসলাম। হ্যালোকে সে বলে, “চলমান পরিস্থিতিতে পড়াশোনার কোনো পরিবেশ দেখছি না। স্কুল ও কোচিং সেন্টার সবই বন্ধ। এতে পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
“আমরা যারা আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা দেব তাদের শিখন ঘাটতি থেকে যেতে পারে।”
সরকার মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নিলে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার জন্য শিক্ষকরা প্রস্তুত আছেন বলে জানান নীলফামারীর ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, “সরকার হয়ত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না। খোলার বিষয়ে ঘোষণা এলে নতুন করে ক্লাস রুটিন সাজিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি ডোমার উপজেলার একটি বেসরকারি বিদ্যালয়য়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিলকিস বানু সুরভীর।
তিনি বলেন, “দেশের যেকোনো অস্থিতিশীল পরিবেশে প্রধান ভুক্তভোগী হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিশুদের পড়াশোনায় যেমন ক্ষতি হয় তেমনি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়তে পারে। তাই দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: নীলফামারী।