আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হ্যালোর ৪ সাংবাদিক

নেদারল্যান্ডসের কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন এই পুরস্কারের জন্য তাদেরকে মনোনীত করেছে।
ছবি: কিডস রাইটস

ছবি: কিডস রাইটস

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার-২০২২–এর জন্য মনোনীত হয়েছে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শিশু সাংবাদিক আফ্রিদা জাহিন, রেদওয়ান আহমেদ, আওসাফ রহমান ও প্রিয়াংকা ভদ্র।

নেদারল্যান্ডসের কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন এই চার শিশু সাংবাদিককে আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে।

নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া আফ্রিদা রংপুর জেলা থেকে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শিশু সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছে।

মনোনয়ন অর্জনের পেছনে হ্যালো অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে জানিয়ে আফ্রিদা বলে, "আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একটা মনোনয়ন পেয়েছি আমি খুবই খুশি, আমার পরিবারও খুবই আনন্দিত। বন্ধু, সহপাঠীরা শুভ কামনা জানাচ্ছে।"

১৬ বছর বয়সী রেদওয়ান আহমেদ মৌলভীবাজার থেকে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে যুক্ত। দুই বছরের শিশু সাংবাদিকতায় তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যোগ হয়েছে অনেক পালক।

রেদওয়ান বলছিল, "আমার মা নমিনেশনের খবর শুনে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে। আর আমি নিজেও আজ খুবই উচ্ছ্বসিত। এতটুকু প্রাপ্তির পেছনে হ্যালোর অবদান অনেক। হ্যালো আমাকে বিকাশের সুযোগ দিয়েছে। কিডস রাইটসের বায়োতেও আমি হ্যালোর সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছি।"

আরেক শিশু সাংবাদিক আওসাফ রহমানও খুশি আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে। হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে তার পথচলার অভিজ্ঞতা তিন বছরের।

আওসাফ জানায়, ভবিষ্যতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সে।

১৭ বছর বয়সী প্রিয়াংকা সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। দ্বিতীয়বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছে সে।

প্রিয়াংকা জানায়, ২০১৭ সালে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে শিশু সাংবাদিক হিসেবে যুক্ত হয় সে। লিঙ্গ বৈষম্যের পাশাপাশি, বাল্যবিয়ে, শিশু অধিকারসহ নানা বিষয় ওঠে এসেছে তার লেখায়।

প্রিয়াংকার মা রিক্তা রাণী সরকার বলছিলেন, "সন্তানের যে কোনো অর্জনেই মায়েরা খুশি হয়। এ আনন্দ তো প্রকাশ করার ভাষা নেই।"

শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নাজুক অবস্থায় থাকা শিশুদের সুরক্ষায় কাজের জন্য প্রতি বছর এই পুরস্কার দেয় ‘কিডস রাইটস’ নামের একটি সংগঠন। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারে।

২০০৫ সালে রোমে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের এক সম্মেলন থেকে সম্মানজনক এই পুরস্কার চালু করা হয়। প্রতিবছর একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কারটি হস্তান্তর করেন। তাই এ পুরস্কারটি ‘শিশুদের নোবেল’ হিসেবেও পরিচিত।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com