দুর্গাপুরের কমলা রানীর দীঘিকে ঘিরে কথিত ইতিহাস নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। তাই তো দিঘীটি দেখতে আসেন অনেকেই।
কথিত আছে, ১৫ শতকের শেষ দিকে সুসং দুর্গাপুরের রাজা জানকী নাথ বিয়ে করেন কমলা দেবীকে। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে প্রজাদের পানির অভাব মিটাতে একটি দীঘি খনন করেন রাজা।
খনন করা হলেও দীঘিতে পানি ওঠে না। এসময় রানী কমলা দেবী স্বপ্নে দেখেন, দীঘির মাঝখানে পূজা দিলে পানিতে ভরে উঠবে। সেই অনুযায়ী পুকুরের মাঝখানে গিয়ে রানী পূজায় বসলে হঠাৎ বজ্রপাতে দীঘির তলার মাটি ফেটে পানি উঠতে লাগল। পানিতে কানায় কানায় ভরে ওঠে দীঘি। তখন দীঘিতেই সলিল সমাধি (পানিতে মৃত্যু) হয় কমলা রানীর।
ভূমি কার্যালয় জানিয়েছে, প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও তিন কিলোমিটার প্রশস্ত ছিল এই পুকুরটি।
দুর্গাপুর সদর, বিরিশিরি ও চন্ডিগড় ইউনিয়নের অংশে খনন করা দীঘিটি ঘুরে দেখা যায়, এর মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে সোমেশ্বরী নদী। কালের সাক্ষী হয়ে থেকে গেছে দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়। কিছু অংশে রয়েছে ফসলি জমি আর পাড়গুলোতে গড়ে উঠেছে বসতভিটা।
অনেকেই দিঘীটির নাজুক অবস্থা দেখে হতাশ হন। এটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা হয় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুল ইসলামের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “এই দিঘী সংরক্ষণের বিষয়ে আমাদের সরকারের নামে যতটুকু রেকর্ডে রয়েছে সেটা আমরা ঊর্ধ্বতন পক্ষকে জানাব। যাতে এটি একটি পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পায় এবং এটি একটি পর্যটন স্পট হিসেবে পরিচিতি পায়।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১২। জেলা: নেত্রকোণা।