ইউনিসেফের প্রতিবেদন
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বন্যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে সিলেট জেলায়।
Published : 26 Jan 2025, 05:07 PM
চরম আবহাওয়াজনিত বিভিন্ন ঘটনার কারণে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের তিন কোটি ৩০ লাখ শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল- ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
“লার্নিং ইন্টারাপটেড: গ্লোবাল স্ন্যাপশট অব ক্লাইমেট-রিলেটেড স্কুল ডিসরাপশন ইন ২০২৪” শীর্ষক প্রতিবেদনে আবহাওয়াজনিত ঘটনায় শিশুদের শিক্ষায় ব্যাঘাতের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটির তথ্যমতে, ২০২৪ সালে বিশ্বের ৭৭টি দেশে তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যা ও খরার কারণে অন্তত ২৪ কোটি ৭০ লাখ শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া ছিল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল। বাংলাদেশের নামও রয়েছে এই তালিকায়।
বাংলাদেশে এপ্রিল ও মে মাসে তাপপ্রবাহের কারণে শিশুদের পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় সারা দেশে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রোমালের আঘাতে বেশ কিছু জেলায় শিশুদের স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এরপর জুনে তীব্র বন্যায় দেশের প্রায় ১ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে ৭০ লাখ ছিল শিশু। বন্যায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শিশুদের শিক্ষায়।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বন্যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে সিলেট জেলায়। তীব্র বন্যায় সেখানে ব্যাপকভাবে অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে ছয় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “বাংলাদেশে শিশুরা পরস্পর সম্পর্কিত দুটি সংকটের সম্মুখভাবে রয়েছে। এ সংকট হল- জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান শিখন দারিদ্র্য। এর ফলে তাদের টিকে থাকা ও ভবিষ্যৎ দুটোই হুমকির মুখে পড়ছে।”
আন্তর্জাতিক জলবায়ু খাতে অর্থদানকারী প্রতিষ্ঠান ও দাতা গোষ্ঠী, বেসরকারি খাত ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি নীতি ও পরিকল্পনায় শিশুদের প্রয়োজনীয়তাগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।