শিশু ছবিঘরে শুধু ছবিই নয়, রয়েছে নানান বাদ্য যন্ত্র ও খেলনা সামগ্রী। স্কুল ছুটির পর বা শুরুর আগে এখানে এসে খেলাধুলা, গান বাজনা করে শিশুরা।
Published : 25 Jul 2023, 09:45 PM
স্বপ্ন ছিল শিশুদের জন্য এমন একটি মঞ্চ তৈরি করবেন যেখানে শিশুরা হাসবে, খেলবে, গাইবে নিজের মতো করে।
সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই নিজের হাতে আঁকা ছবি দিয়ে শিশুদের জন্য গড়ে তুলেছেন একটি ঘর; যার নাম দিয়েছেন 'শিশু ছবিঘর'।
শিশুদের মানসিক বিকাশের কথা মাথায় রেখে নিজ উদ্যোগে ২০১৯ সালে হাতে আঁকা ছবি দিয়ে এই উদ্যোগ নেন মু. খালিদ হোসেন মিল্টন নামের
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার এক ব্যক্তি।
শিশু ছবিঘরে গেলে দেখা মিলবে দেয়ালে মাটির তৈরি টালির উপরে রংতুলি দিয়ে আঁকা রাজা রাণীর ছবি, মুক্তিযুদ্ধের বর্বরতার নানা চিত্র, গ্রামবাংলার মানুষের জীবনের চিত্র, প্রকৃতি ও পরিবেশের চিত্র। ঘরটির বাইরের দেয়ালেও ছবি টাঙানো।
কাঁচা হাতে আঁকা হলেও শিশুরা এই ছবি দেখে বেশ মজা পায়। দেয়ালে টাঙানো কিছু ব্যঙ্গচিত্রের চরিত্রের বেশ মজার মজার নামও আছে। কোনোটার নাম টুসি মাসি কোনোটা আবার খুশি মাসি। কোনোটা সং দাদা কোনোটা আবার ঢং দাদা।
শিশু ছবিঘরে শুধু ছবিই নয়, রয়েছে নানান বাদ্য যন্ত্র ও খেলনা সামগ্রী। স্কুল ছুটির পর বা শুরুর আগে এখানে এসে খেলাধুলা, গান বাজনা করে শিশুরা। কেউ কেউ নিজের হাতে আঁকা ছবি নিয়ে আসে এখানে৷ সেই ছবি স্থান পায় ঘরের দেয়ালে।
শিশু ছবিঘরে গিয়ে কয়েকজন শিশুর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
এসময় মাহির নামের প্রথম শ্রেণির এক শিশু বলে, “আমরা শিশুরা এখানে ছবি দেখি, আনন্দ করি।”
আবদুল্লাহ নামের আরেজন শিশু বলে, “আমরা অনেক মজা করি শিশু ঘরে এসে৷”
শিশু ছবিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও গলাচিপা প্রেসক্লাবের সভাপতি মু. খালিদ হোসেন মিল্টন হ্যালোকে বলেন, “আমার এ শিশু ছবিঘরে শিশুদের বেড়ে ওঠা, বড় হওয়া, আনন্দ দেয়া, ছবি আঁকাসহ বিভিন্ন ধরনের উৎসাহ দেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমার এ শিশুঘরে যে শিশুরা আসে সরকারি বেসরকারি চিত্র অঙ্কন প্রতিযোগিতায় তারা পুরস্কৃত হয়, ভালো ছবি আঁকতে পারে৷ সাংবাদিকতার পাশাপাশি আমার দ্বিতীয় ইচ্ছে আমার শিশুরা, ওদের মনের বিকাশ এবং আনন্দ দেয়াই আমার কাজ। এখানে প্রতিদিন ৫০-১০০ জন শিশু আসে, তারা ছবি দেখে, আনন্দ পায়। তারা সকালে স্কুল শুরু সময় ও স্কুল শেষে এখানে আসে।”
শিশুদের সঙ্গ মজায়, হেলায়-খেলায় মেতে উঠতে দেখা যায় ৬৫ বছর বয়সী মিল্টনকে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: পটুয়াখালী।