গল্পগুজব করে ও ছড়া নিয়ে শিশুদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদের সঙ্গে এক বিকেল কাটালেন ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়া।
শনিবার চট্রগ্রামের রাউজানে তার বাসভবন শুভালয়ে মধ্যম বিনাজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কবির জন্য এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রাথমিকের বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়। সুকুমার বড়ুয়ার ছড়া আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করে তারা। এছাড়াও ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব।
সুকুমার বড়ুয়া শিশুদের বলেন, "তোমাদের অনেকের দাদা আমার বন্ধু ছিল। আমার সময়ের মানুষদের বংশধর তোমরা, এখানে এসে তোমাদের সঙ্গে একটা সংযোগ তৈরি হলো আমার।"
সুকুমার বড়ুয়ার ছেলে অরূপ রতন বড়ুয়া হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "শিক্ষার্থীরা বাবার জীবনী সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করেছে, বাবা উত্তর দিয়েছেন। আবার শিক্ষার্থীদেরকেও বাবা নানা প্রশ্ন করেছেন। ভালো একটি আড্ডা হয়েছে।"
তিনি যোগ করেন, "গ্রামে আমরা নতুন বাড়িটা করেছি। বাবা গ্রামের নির্মল পরিবেশেই থাকতে চাচ্ছেন। ঢাকায় হয়ত চিকিৎসার প্রয়োজনে যাওয়া হতে পারে। তবে আপাতত বাবা এখানেই থাকবেন।"
বয়সের ভারে ন্যুজ সুকুমার বড়ুয়া রাজধানী ঢাকায় স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে থাকছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি ফিরে যান গ্রামের বাড়ি।
দারিদ্র্যের কষাঘাতে একসময় শিশু গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা সুকুমার বড়ুয়া হয়ে ওঠেন শিশুদের কবি। দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্তই হয়েছিল তার প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা। জীবিকার তাগিদে ফলমূল, আইসক্রিমও ফেরি করেছেন।
উদ্ভট, ব্যঙ্গাত্মক, হাস্যরসাত্মক, কৌতূহলোদ্দীপক, নৈতিক শিক্ষামূলক রচনার পাশাপাশি গণমুখী, রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ তার রচনাবলী।
ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৭ সালে 'একুশে পদক' পান সুকুমার বড়ুয়া।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।