নদী ভাঙনে গৃহহারা মানুষ পেল ঘর-জমি (ভিডিওসহ)

"মসজিদ, মন্দির, শ্মশান, কবর, খেলার মাঠ, স্কুলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।"

নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলে নদী ভাঙনে গৃহহারা ৭৬টি পরিবারকে ঘর-জমি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

জেলার হাওর উপজেলা খালিয়াজুরীর ধনু নদীর অব্যাহত ভাঙনে এই পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছিল। উপজেলার হেমনগরকান্দায় পুনর্বাসনের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবারগুলোকে ঘর-জমি বরাদ্দ দেওয়া হলো।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের আওতায় স্কুল, খেলার মাঠ, উইমেনস কর্ণার, ১২টি সড়ক, সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ, শ্মশান, কবরস্থান, উপাসনালয়সহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।

গড়ে তোলা হচ্ছে দুটি কক্ষ, রান্না ঘর, বারান্দাসহ পাকা ভিটের টিনশেড ঘরের ৩৫০টি ইউনিট। এতে নদী ভাঙনের শিকার ছাড়াও ভূমি-বাড়ি নেই এমন পরিবারদেরও ঠাঁই দেয়া হচ্ছে।

জ্যেতি চন্দ্র সরকার নামে একজন সুবিধাভোগী হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ধনু নদীতে সব হারাইছি। মানুষের বাড়িতে থাকি। ঘর নাই, বাড়ি নাই। কাম কাজ কইরা কোনোমতে সংসার চালাই। বাড়ি করাম কেমনে। সরকার আমরারে বাড়ি-ঘর দিতাছে আমরা খুবই খুশি। নতুন স্বপ্ন দেখতাছি।"

খালিয়াজুরী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ 'হ্যালো'কে বলেন, "নদী ভাঙনে পাতরা গ্রামের ৭৬টি পরিবারকে এই প্রকল্পে আশ্রয় দেয়া হবে। এছাড়াও উপজেলার ভূমিহীনদের এখানে আম্রয় দেয়া হবে। এখানে হিন্দু, মুসলিম দুই কমিউনিটিকে পুনর্বাসন করা হবে। মসজিদ, মন্দির, শ্মশান, কবর, খেলার মাঠ, স্কুলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।"

খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুয়েল সাংমা 'হ্যালো'কে বলেন, "২৩৫টা পরিবার নদী ভাঙনে বাস্তুভিটা হারিয়ে তারা নিঃস্ব। এর মধ্যে ৭৬টা পরিবারকে পুনর্বাসন করছি। হেমনগরকান্দায় ৩৫০টা ঘর করছি, দ্রুততার সাথে কাজ চলছে। আগামী মার্চে তাদেরকে পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে।

"বাকিদের জন্যে প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেখানে বাকিদের পুনর্বাসন করা হবে। নদী ভাঙনের শিকার বাকি আরও ১৫৯ পরিবারকে পুনর্বাসনে প্রকল্প প্রণয়ন করা হচ্ছে।"

প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: নেত্রকোণা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com