ইউনিসেফ সকল সহিংসতার নিন্দা জানায় উল্লেখ করে বিবৃতিতে নিহত শিশুদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানানো হয়।
Published : 02 Aug 2024, 10:40 PM
কোটা নিয়ে আন্দোলন ঘিরে দেশে সহিংসতায় অন্তত ৩২ শিশুর প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল- ইউনিসেফ।
শিশুদের মৃত্যুতে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রধান সঞ্জয় উইজেসেকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার ইউনিসেফের ওয়েবসাইটে তার একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা বলেন, "আমি বাংলাদেশে এক সপ্তাহ কাটানোর পর সবেমাত্র ফিরে এসেছি। দেশটিতে সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং শিশুদের উপর চলমান অস্থিরতার প্রভাব নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।"
তিনি আরও বলেন, "ইউনিসেফ নিশ্চিত হয়েছে যে জুলাই মাসের আন্দোলনে সংঘটিত সহিংসতায় অন্তত ৩২ শিশু নিহত হয়েছে। আরও অনেক শিশু আহত হয়েছে এবং অনেককে আটক করা হয়েছে। এ এক ভয়াবহ ক্ষতি।"
ইউনিসেফ সকল সহিংসতার নিন্দা জানায় উল্লেখ করে বিবৃতিতে নিহত শিশুদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানানো হয়।
এছাড়াও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। তাই শিশুদের আটকের প্রভাব নিয়ে গবেষণার ভিত্তিতে ইউনিসেফ সব ধরনের শিশুদের আটক বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছে। এর মানে হলো যে কোনো স্থানে তাদের নিছক উপস্থিতির ভিত্তিতে বা তাদের ধর্ম, পরিবারের সদস্যদের কাজ বা বিশ্বাসের কারণে শিশুদের গ্রেফতার বা আটক করা উচিত নয়।
প্রাক-প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৩ কোটি শিক্ষার্থী ১০ দিন স্কুলে যেতে পারেনি। চলতি বছরের শুরুতে তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে, তার সঙ্গে নতুন করে স্কুল বন্ধ হওয়ার ক্ষতি যুক্ত হয়েছে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়।
এই কর্মকর্তা বলেন, 'একটি সর্বোত্তম উপায় হলো সহিংসতার প্রভাব থেকে শিশুদের বের করে আনা এবং তাদের নিরাপদে রাখতে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া, পড়াশোনা আবার চালু এবং শিশুদের তাদের বন্ধু এবং শিক্ষকদের সাথে পুনরায় একত্রিত করা।'
তিনি জানান, রোববার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইউনিসেফ। তবে তখনো প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা শুরু করতে পারবে না।
"যত দীর্ঘ সময় শিশুরা, বিশেষ করে কন্যাশিশুরা স্কুলের বাইরে থাকবে, ততই তাদের পড়াশোনায় ফেরার সম্ভাবনা কমবে। এতে তাদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়বে।"
সবশেষে সঞ্জয় উইজেসেকেরা বলেন, 'শিশু ও তরুণেরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তারা যখন কোনো কিছু নিয়ে সোচ্চার হন, তখন তাদের সুরক্ষা দেওয়া উচিত।'
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।