তার বাবা-দাদা এই পেশায় যুক্ত ছিলেন, তাই ছোটবেলা থেকেই তিনি এ পেশার সঙ্গে পরিচিত।
Published : 05 Dec 2024, 08:48 PM
একসময় গ্রামবাংলার পথে পথে দেখা মিলত ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দরদের। পিঁড়ি আর কাঠের বাক্সে সরঞ্জাম নিয়ে তারা হাটে-বাজারে কিংবা বাড়ি বাড়ি ঘুরে মানুষের চুল-দাড়ি কাটতেন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই পেশা এখন প্রায় বিলুপ্ত। তবে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় গোবিন্দ বর্মন নামের এক ব্যক্তি এখনও টিকে আছেন এই পুরনো পেশা নিয়ে।
উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নে বাস করেন তিনি। স্থানীয়রা জানান, এই ইউনিয়নে গোবিন্দ ছাড়া আর কেউই এই পেশায় নেই। তিনি ১২ বছর ধরে চুল-দাড়ি কাটার কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করছেন।
তার বাবা-দাদা এই পেশায় যুক্ত ছিলেন, তাই ছোটবেলা থেকেই তিনি এ পেশার সঙ্গে পরিচিত। তবে তার এই পেশা বেছে নেওয়ার পেছনে রয়েছে ভিন্ন বাস্তবতা।
গোবিন্দ হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমি আগে নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি থাকতাম। সেখানে আব্দুল হামিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে চুল-দাড়ি কাটার কাজ শিখি।’
ভবিষ্যতের কথা ভেবে চুল কাটার কাজ শিখলেও শুরুতে কাজের সুযোগ খুব কম ছিল। এরপর তিনি ঋণ করে চুল কাটার কিছু সরঞ্জাম কেনেন। কিন্তু বাজারে দোকান ভাড়া নেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য ছিল না তার।
“এরপর আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে চুল-দাড়ি কাটার কাজ শুরু করি,” বলেন গোবিন্দ।
তার সেবার মূল গ্রাহক নিম্ন আয়ের মানুষ। চুল বা দাড়ি কাটার জন্য তিনি ৩০ টাকা পারিশ্রমিক নেন।
গোবিন্দ জানান, দিনে তার আয় চারশ থেকে পাঁচশ টাকার মধ্যে হয়। এই সামান্য আয় দিয়েই কোনোভাবে চলে তার পাঁচ সদস্যের সংসার।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: নেত্রকোণা।