
সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় ঝড় জলোচ্ছাস থেকে গবাদি পশু রক্ষায় ভূমিকা রাখছে মাটির কেল্লা।
জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার কচুখালী গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি বেসরকারি সংস্থা চার বিঘা জমিতে ১৪ ফুট উঁচু মাটির কেল্লা নির্মাণ করে, যা দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এক শিশু হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিল, “এখানে যখন ঝড়-বর্ষা হয় তখন আমরা গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি নিয়ে কেল্লায় আসি। কেল্লা আমাদের খুব উপকার করে।”
এক তরুণী হ্যালোকে বলেন, “মাটির কেল্লা বানানোর পর থেকে এখানে কোনো ঝড়-টর হলে ছাগল, গরু এসে এখানে দাঁড়াতে পারে, বসতে পারে। মাটির কেল্লা হওয়ার পর থেকে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।”
এক নারী বলেন, “মাটির কেল্লা তৈরি হওয়ার পর থেকে এখানে দুর্যোগ হোক আর আকাশ পানি যাই হোক মানে পানি বেশি হলে দুর্যোগ হলে আমরা জীবন বাঁচানোর তাগিদে আশ্রয় নিতে পারি এখানে।”
মাটির কেল্লা নির্মাণের কারণ কী জানতে চাইলে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সুশীলনের প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামান হ্যালোকে বলেন, “কেল্লা সাধারণ ফ্লাড এড়িয়াতে (বন্যা প্রবণ অঞ্চল) হয়ে থাকে। কিন্তু আইলার পর দেখা গিয়েছে দীর্ঘদিন জলমগ্ন থেকেছে সমস্ত এলাকা। এবং আমরা যদি দেখি গাবুরা, বিশেষ করে সুতরখালী- এসব এলাকায় দীর্ঘকাল পানির নিচে থেকেছে।”
তিনি যোগ করেন, “এই অঞ্চলে এখন এটার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এবং সেই কারণে আমাদের অত্যন্ত দরকার। যাতে সরকার এবং দাতা সংস্থা এই অঞ্চলে কেল্লা তৈরি করে এবং এই অঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণকে শক্তিশালী করে।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: সাতক্ষীরা।