সারা দেশে চা-বাগানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

"জিনিসের যে দাম তাতে ১২০ টাকার আয়ে চলে না, পারি না।”
 মৌলভীবাজারে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ।

মৌলভীবাজারে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ।

দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে গিয়েছেন চা শ্রমিকরা। এতে ভর মৌসুমে বেকায়দায় পড়েছেন বাগান কর্তৃপক্ষ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে সিলেট ভ্যালির ২৩টি, হবিগঞ্জের ২৪টি এবং মৌলভীবাজারের ৯২টি বাগানসহ মোট ২৪১টি চা বাগানের শ্রমিক একযোগে এ ধর্মঘট শুরু করেন।

সরস্বতী বাউরি নামে পঁচিশোর্ধ্ব এক চা শ্রমিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি আয় করলে আমার পাঁচজনের মুখে খাবার পড়ে। বাগানে প্রায় এগারশ শ্রমিক আছে আমার মতো। সবারই তো একই অবস্থা। ১২০ টাকা মজুরি পাই।

“এখনকার বাজারে কীভাবে চলে সংসার? নিজে খাই বা না খাই দুইটা শিশু আর বুড়া মাকে তো খাবার দিতে হয়। জিনিসের যে দাম তাতে ১২০ টাকার আয়ে চলে না, পারি না।”

বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১০ বছর ধরে চা পাতার মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু ১০ বছরে চা শ্রমিকদের বেতন কয়েক দফা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটাও বিবেচনায় নিতে হবে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুসারে, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় দেশের প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ৮ কোটি কেজি চা উৎপাদন ছিল সর্বোচ্চ, যা ছাপিয়ে ২০১৯ সালে উৎপাদন ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি হয়। ২০২১ সালে ছোট-বড় সব বাগান থেকে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদনের খবর দেয় চা বোর্ড।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুসারে, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় দেশের প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ৮ কোটি কেজি চা উৎপাদন ছিল সর্বোচ্চ, যা ছাপিয়ে ২০১৯ সালে উৎপাদন ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি হয়। ২০২১ সালে ছোট-বড় সব বাগান থেকে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদনের খবর দেয় চা বোর্ড।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: হবিগঞ্জ।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com