ক’দিন আগেই গিয়েছিলাম বেঙ্গল বইয়ে। ভেতরে প্রবেশের ঠিক আগ মুহূর্তে চোখ গেল দোকানটির বাইরে দাঁড়ানো এক শিশুর দিকে।
হাত ভরতি বেলুন নিয়ে বিক্রির জন্য এদিক সেদিক করছিল সে।
ডেকে কথা বলতে চাইতেই কাছে এলো। তার নাম কণা। বয়স ১০ বা ১১ হবে।
কণা রাজধানীর আদাবরের এক বস্তিতে বাবা মার সঙ্গে থাকে।বাবা রিকশা চালান, মা পিঠা বিক্রি করেন। মাঝে মধ্যে পথশিশুদের একটা স্কুলে যায় বলে সে জানায়। কিন্তু স্কুলের নাম বা কোন শ্রেণিতে সে পড়ে তা ঠিক বলতে পারল না।
সে হ্যালোকে বলে, ”বেলুন বিক্রির টাকা থেকে কখনো ইচ্ছা হলে কিছু কেনে না হলে সব টাকা তার বাবাকে দেয়।”
সব সময় বেঙ্গল বইয়ের সামনেই বেলুন বিক্রি করে সে। কথায় কথায় বলল তারও ভেতরে যেতে ইচ্ছা করে।
”কিন্তু গিয়া কী করমু? আমি তো আর বই কিনবার পামু না।”
কণার ইচ্ছা বড় হয়ে সে একটা বইয়ের দোকান দেবে আর সব বই সে পড়ে ফেলবে। বেলুন নিয়ে মানুষের পেছন পেছন আর যেতে হবে না থাকে।