'মুক্তিযুদ্ধে আমরাই লোকজন পাঠিয়েছি' (ভিডিওসহ)

"তাদের সেই ১১ জন রাজাকারকে ধরা হলো এবং ১৫ টার মতো রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছিল সেদিন।"

নিজে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নিজ এলাকা থেকে অন্যদেরও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেছেন নূরুল ইসলাম নামে নেত্রকোণার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে এসেছে তার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির কথা।

হ্যালো: মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার বয়স কত ছিল?

নূরুল ইসলাম: মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ২৫ কী ২৬ বছর হবে।

হ্যালো: মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার তাগিদটা কেন অনুভব করেছিলেন?

নূরুল ইসলাম: আমরা নিজেরাই আওয়ামী লীগের সমর্থন করেছি। তখন আমার একটা বিরাট বড় দায় দায়িত্ব আমার সমস্ত এলাকার সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে আমরা লোকজন পাঠিয়েছি। আমাদেরকে কাউকে অনুপ্রাণিত করতে হয়নি, বঙ্গবন্ধুর ডাকে আওয়ামী লীগের নির্দেশে আমরা এই কাজটা করতে বাধ্য ছিলাম এবং আমরা মনে-প্রাণে সেই কাজটা করেছি।

হ্যালো: মুক্তিযুদ্ধে আপনার সঙ্গে ঘটে যাওয়া কিছু স্মৃতি সম্পর্কে আমরা জানতে চাই।

নূরুল ইসলাম: মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিতো অনেক। একটা কথা বলি সেটা হল, এই আমরা যখন বসুর বাজার ব্রিজ ভাঙার জন্য আসছিলাম তখন ওখানে ওরা দুই পাশে বাঙ্কার তুলে ওরা পাহারা দিত।

সেনাবাহিনী মাঝে মাঝে এসে টহল দিত। সেখানে আমরা সমস্ত জায়গা মার্কিং করি কীভাবে আমাদের অ্যাটাক করতে হবে তা আমাদের যে কোম্পানি কমান্ডার ছিল ইলিয়াস চৌধুরী তা নির্ধারণ করলেন এবং রাত্রে আমাদেরকে নিয়ে রওনা হলেন এবং নন্দনউড়া গ্রামের পেছনে একটা নিচু জমিতে সেখান থেকে আমরা পজিশন নেই।

আমাদেরই একটি গ্রুপকে আমরা সিংহেরগাঁওয়ের রাস্তা দিয়ে আমরা নেত্রকোনা কেন্দুয়া রাস্তায় পাঠিয়েছিলাম। ওই রাস্তা দিয়ে তারা এগিয়ে আসলো ব্রিজের দিকে এবং তারা একটা নির্ধারিত স্থানে তাদেরকে যেখানে আসার কথা বলা হলো তারা হঠাৎ করে তাদের একটা সংকেত দিল তারা সেখানে এসে পৌঁছে গেছে এবং তারা সেই সংকেতটি পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা আক্রমণ শুরু করে দিলাম ।

ফলে তারাও আমাদেরকে আক্রমণ করল, ফলে পাল্টাপাল্টি গোলা বিনিময় হলো এবং আমাদের হাতে মটর ছিল এবং আমাদের হাতে এলএমজি ছিল। মটর ব্যবহার করে কয়েকটা গোলা ছাড়ার পর তারা স্তব্ধ হয়ে গেল এবং পরবর্তীতে আমরা তাদের বাঙ্কারের কাছে পৌঁছে গেলাম এবং সেখানে তারা ১১ জন ছিল।

তাদের সেই ১১ জন রাজাকারকে ধরা হলো এবং ১৫ টার মতো রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছিল সেদিন। এটা একটা সবচেয়ে বড় স্মৃতি।

প্রতিবেদকের বয়স: ১২। জেলা: নেত্রকোণা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com