
বাল্যবিয়ের ফলে নানা স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি হয়। এমনকি কিশোরী গর্ভধারণ করলে তার মৃত্যুঝুঁকিও তৈরি হয় বলে জানান চিকিৎসক। বাল্যবিয়ের ক্ষতি নিয়ে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এসব জানান কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শাহীনুর রহমান সরদার। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কী করা যেতে পারে, এ বিষয়ে নিজের মতামতও দিয়েছেন এই চিকিৎসক।
হ্যালো: শিশুবিয়ে প্রতিরোধে আপনি একজন চিকিৎসক হিসেবে সমাজের জন্য কী বার্তা দিতে চান?
শাহীনুর রহমান সরদার: চিকিৎসকরা আমরা ভূমিকা রাখতে পারি, যখন বিয়ে হয়েও যায় বাচ্চাগুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাউন্সেলিং করা, যদি কখনও তারা চিকিৎসা নিতে আসে তাদেরকে কাউন্সেলিং করা যে একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর তোমরা বাচ্চা নিবে তার আগে বাচ্চা নিও না।
তারপর তাদের পরিবারের লোকজন যে থাকে তাদের বোঝানো যে এই অল্প বয়সে বাচ্চা নিলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, এই ক্ষতিকর দিকগুলো বলা। এই বয়সে মেয়েদের যে শারীরিক বিকাশের জন্য যে খাবার বা পুষ্টির যে দরকার এই ব্যাপারেও যথেষ্ট জ্ঞান দেয়া, এটা করা যেতে পারে।
আমাদের সচেতনতার বিকল্প নেই। আমাদের পারিবারিক, সামাজিকভাবে এর ব্যাপারে প্রতিরোধ গড়তে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিশেষ করে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের জন্য অনেক রকম উদ্যোগ আমরা দেখি। তো এটাকে আরো জোরদার করতে হবে।
বিশেষ করে যারা এই বিয়েগুলোর সাথে সরাসরি যুক্ত, যেমন কাজী, তাদেরকে আরো ট্রেইনড আপ করতে হবে। নির্দিষ্ট বয়সের পূর্বে যেন কারো বিয়ে না হয় এটা যেন তারা নিশ্চিত করে।
তাছাড়াও সামাজিকভাবে আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে বাল্যবিবাহ দেয়ার পরে মা এবং শিশু সবার জন্য যে ক্ষতির দিকটা এটা সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে, সামগ্রিকভাবে দেশের উপরই পড়ে। তো এই সচেতনতা যত বৃদ্ধি করব, যত আমরা সচেতন হব, আমার মনে হয় যে এর পরিমাণ আস্তে আস্তে তত কমে যাবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: কুড়িগ্রাম।