জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের বিশেষ প্রতিনিধি বাংলাদেশি আমিরা হকের সাথে শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে কথা হয় হ্যালোর সাথে।
এসময় আমিরা হক শান্তিরক্ষা বাহিনীর নানা দিক নিয়ে কথা বলেন।
তিনি জানান, দক্ষিণ সুদানে মোট ১১ হাজার শান্তিরক্ষী নিয়োগের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এরমধ্যে সাত হাজার নিয়োগ করা হয়েছে। বাকি চার হাজার খুব তাড়াতাড়ি নিয়োগ দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে (স্থানীয় সময়) নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদরদপ্তরে হ্যালো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাথে এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, আগে সুদানে সৈন্য সংখ্যা ছিল সাত হাজার। এখন এটাকে বাড়ানো হবে। এদের নেয়া হবে ইথোপিয়া, উগান্ডা ও কেনিয়া থেকে।
বাংলাদেশ থেকে নতুন করে কোন সৈন্য নেয়ার ব্যাপারে জানান, দক্ষিণ সুদানের বিপদের সময় বাংলাদেশ প্রথম সৈন্য পাঠানোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কঙ্গো থেকে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টার ও সৈন্য পাঠিয়েছিল। এখনও বাংলাদেশের অনেক সৈন্য রয়েছে দক্ষিণ সুদানে। তাই আপাতত বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ সুদানের জন্য সৈন্য নেয়ার দরকার হবে না।
তিনি বলেন, "পিস কিপাররা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। শান্তিরক্ষীদের বলা আছে বেসামরিক লোকদের সাহায্য করা। আর এদের মধ্যে যে বাচ্চারা আছে তাদের রক্ষা করতে ভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া। "
শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, "শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য নেয়ার ক্ষেত্রে তরুণদের প্রাধান্য দেয়া হয়। তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনেক বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। আর এই মিশনের উদ্দেশ্যই শান্তি ফিরিয়ে আনা ও প্রতিষ্ঠা করা।
শান্তিরক্ষা মিশনে কি কি টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা যাতে ভালো অবস্থানে থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে পারেন, দক্ষতা বাড়াতে পারেন সেজন্য নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অ্যারিয়াল সিস্টেম আধুনিক করা হচ্ছে। এটা করা গেলে তারা রিয়েল টাইম ইনফরমেশন পাবে। এতে আরো সতর্কভাবে কাজ করতে পারবে।
জাতিসংঘে কাজ করার ব্যাপারে অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমার এখানে কাজ করতে ভালো লাগছে। আমি আশা করি আরো ভালো কাজ করতে পারব। আমি কাজ করে মজা পাচ্ছি। এখানে অনেক কিছুই করার আছে।"
হ্যালোর পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ দেয়া হয়। পরে তিনি শিশু সাংবাদিকদের কাজের সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও হ্যালোকে ধন্যবাদ জানান।