দিন কাটে ব্যস্ততায়

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে অনেক প্রতিবেদন তৈরি করেছি। জেনেছি পড়ার সুযোগ পেলে তারা পড়বে কিনা, বড় হয়ে কী হতে চায়, সারাদিন কীভাবে কাটে ইত্যাদি। এবার সাক্ষাতকার নিলাম সচ্ছল পরিবারের এক শিশুর জানলাম তার ইচ্ছে, স্বপ্ন ও চাওয়া পাওয়ার গল্প।

ঠাকুরগাঁওয়ের একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে আহানাফ তাহমিদ খন্দকার। সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা হয় ওর।

হ্যালো: কেমন আছ?

আহানাফ তাহমিদ খন্দকার: খুব ভালো আছি।

হ্যালো: লেখাপড়া কেমন চলছে?

আহানাফ তাহমিদ খন্দকার: ভালো।

হ্যালো: দিন কীভাবে কাটে তোমার?

আহানাফ তাহমিদ খন্দকার: প্রতিদিন সকালে উঠে দাঁত ব্রাশ করে নাস্তা করে পড়তে বসি। এরপর প্রাইভেট পড়ার জন্য সকাল ৯টায় বের হই। প্রাইভেট শেষে ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত স্কুল করি। এর ফাঁকে দুপুরের খাবার খাই। স্কুলে শেষে বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকালে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করি। এরপর সন্ধ্যায় নাস্তার পর বাড়িতে একজন শিক্ষক পড়াতে আসেণ। উনি চলে যাওয়ার পর ড্রয়িং শিক্ষক আসেন। ৮টা থেকে ৯টা ড্রয়িং শেখায়। এরপর টিভি দেখি কিছুক্ষণ। এরপর ঘুমাতে যাই।

হ্যালো: ছুটির দিনে কী কর?

আহানাফ তাহমিদ খন্দকার: সেদিন গান শিখি। খেলাধুলার সময় একটু বেশি পাই। আর আব্বু-আম্মুর সাথে ঘুরতে যাই।

হ্যালো: আম্মু আব্বু তোমাকে সময় দেন?

আহানাফ তাহমিদ খন্দকার: আব্বু তো খুবই ব্যস্ত মানুষ। আম্মুই বেশি সময় দেন। কোথাও ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে হলে বেশিভাগ সময় আব্বুকে সাথে পাই না। আম্মুকে সাথে নিয়ে ঘুরতে যাই।

হ্যালো: পড়ালেখার পাশাপাশি তোমার কী করতে বেশি ভালো লাগে?

আহানাফ তাহমিদ খন্দকার: খেলাধুলা, ছবি আঁকা ও গান গাইতে ভালো লাগে।

হ্যালো: বড় হয়ে কী হতে চাও?

আহানাফ তাহমিদ খন্দকার: মেজর হতে চাই, দেশের সেবা করতে চাই।

হ্যালো: দেশের সেবা করার ইচ্ছে কেন হলো?

আহানাফ তাহমিদ খন্দকার: আমাদের দেশ এমনিতেই অনেক সুন্দর। আমি দেশের সেবা করে আরও সুন্দর করতে চাই।

হ্যালো: ধন্যবাদ তোমাকে।

আহানাফ তাহমিদ খন্দকার: আপনাকেও ধন্যবাদ।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com