‘সাংবাদিকতা একটা নেশা’

শিশুদের সাংবাদিকতায় আসা দরকার বলে মনে করেন এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন। তবে তিনি পড়াশোনার ক্ষতি না করে এ কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন শিশুদের।
‘সাংবাদিকতা একটা নেশা’

নিজের সাংবাদিকতা, শিশুদের গণমাধ্যমে কাজ করা নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন হ্যালোর সাথে।

হ্যালো: কেমন আছেন?

জ ই মামুন: ভালো, তুমি?

হ্যালো: আমিও ভালো। সাংবাদিক হিসেবে আপনি পরিচিত এক মুখ। যাকে বলা হয় তারকা সাংবাদিক। প্রথমেই এই খ্যাতির অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

জ ই মামুন: সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। খুব গুরুত্বপূর্ণ পেশা এটি। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে সাংবাদিকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ সাংবাদিকরা হল সেই মানুষ যারা সাধারণ মানুষের কথা মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী মানে যারা দেশ পরিচালনা করেন তাদের কান পর্যন্ত পৌঁছে দেন। তাই সাংবাদিকদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হয়। সততার সাথে কাজ করতে হয়। আমিও তাই চেষ্টা করেছি এবং করছি।

হ্যালো: নামের পাশে সাংবাদিক শব্দটা জুড়লো কবে থেকে?

জ ই মামুন: বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে আমি সাংবাদিকতার সাথে পরোক্ষভাবে যুক্ত হই। একটু কাজ করতাম। তারপর লেখাপড়া শেষ করার আগেই ফুল সাংবাদিক হিসেবেই জয়েন করি।

হ্যালো: তার আগে স্কুল জীবনে এ নিয়ে কি কোনো ভাবনা কাজ করত?

জ ই মামুন: স্কুল জীবনে টুকটাক লেখালেখি করতাম। স্কুলের দেয়াল পত্রিকায় লিখতাম, পড়তাম। তখন মনে হতো লেখালেখি করতে পারলে, রিপোর্টার হতে পারলে ভালোই হবে।

হ্যালো: শিশু সাংবাদিকতার প্রয়োজন বোধ করেন কি?

জ ই মামুন: শিশুরা কীভাবে চিন্তা করে আমরা বড়রা তা সবসময় বুঝি না। শিশুদের চিন্তাটা তাদের মত করেই প্রতিফলিত হওয়া উচিত। এ জন্য আমি মনে করি শিশুদের সাংবাদিকতায় আসার দরকার আছে। কিন্তু পাশাপাশি একটা জিনিস মনে রাখতে হবে শিশু চিরদিন শিশু থাকবে না, সে বড় হবে। বড় হওয়ার পরে যেন নিজের ক্যারিয়ারটা ঠিক করতে পারে সেজন্য সাংবাদিকতা করুক, গান শিখুক বা অন্য যে কোনো কাজের সঙ্গেই যুক্ত থাকুক না কেন তার প্রাইমারি লক্ষ্যটা হওয়া উচিত পড়াশোনা। তার ক্যারিয়ারটাকে তৈরি করার জন্য একটা ভিত্তি ছাত্র জীবনেই করতে হবে। সাংবাদিকতা একটা নেশা। এ নেশায় পড়ে তার পড়াশোনার যেন ক্ষতি না হয়। তার ক্যারিয়ার যাতে নষ্ট না হয়।

হ্যালো: শিশু সাংবাদিকতাকে কতটুকু প্রাধান্য দিচ্ছে মূলধারার গণমাধ্যম?

জ ই মামুন: আমরা মানে এটিএন বাংলা প্রতি সন্ধ্যা সাতটার বুলেটিনে শিশুদের সংবাদ দেই। গুরুত্ব দিয়ে আমরা তা প্রাইম বুলেটিনে দিচ্ছি যেখানে ভিওয়ার্স অনেক থাকে।

একুশে টিভি সাপ্তাহিকভাবে মুক্তখবর চালাচ্ছে, আমরা আরও চালাচ্ছি আমরা করবো জয়, বিডিনিউজের হ্যালো, প্রিজম প্রতিদিনই আপডেট হচ্ছে। যতদূর জানি ইউনিসেফের সহযোগিতায় ৬৪ জেলাতেই তোমাদের প্রতিনিধি আছে। শিশু সাংবাদিকরা পিছিয়ে আছে বলে তো মনে হয় না।

একবারে তো সব হবে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আজ এত বছর। প্রথমে কিছুই ছিল না। সবই হচ্ছে আস্তে আস্তে। এভাবে করতে করতেই একদিন মূল ধারা হয়তো তোমাদের দখলেই আসবে।

হ্যালো: আগ্রহী সব শিশুকে বাছাই করে সুযোগ দিয়ে সাংবাদিক তৈরিতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কতটুকু অবদান রাখতে পারবে বলে মনে হয়?

জ ই মামুন: এটা ভালো উদ্যোগ। তবে এখানেও যোগ্যতা এবং নিষ্ঠার প্রশ্নটি আসবে। যখন দশটি শিশু কাজ করবে তার মধ্যে একজন ভালো করবে। যা তোমাদের সম্পাদকরা বুঝতে পারবেন।

ধরো, বিডিনিউজ তোমার সাংবাদিকতায় প্রথম শিক্ষাক্ষেত্র এবং কর্মক্ষেত্র। এরপর তোমার নামের পাশে বিডিনিউজের নাম থাকবে। অতএব, তারা অবশ্যই অবদান রাখছে। এত শিশুর মধ্যে তোমাদের প্রতিভাগুলোকে বের করে আনছে দেশের জন্য।

হ্যালো: ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য।

জ ই মামুন: অভিনন্দন তোমাকে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.