পরিস্থিতি যখন এমন হয়ে দাঁড়ায় তখন শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা গিয়ে ঠেকবে কোথায়?
Published : 18 Nov 2024, 08:39 PM
জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে আমাদের পরিচিত আবহাওয়ার রূপ বদলাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। ফলে কোথাও অসময়ে খরা, কোথাও অসময়ে অতিবৃষ্টিপাত দেখা যায়। শীতের তীব্রতা বাড়ার পাশাপাশি গ্রীষ্মে দাবদাহের দেখা মেলে। এসবের প্রভাব এসে পড়ছে শিক্ষাখাতেও।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শৈত্যপ্রবাহের কারণে অনেক জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এপ্রিলে এসে দাবদাহের কারণেও আবার বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঠাণ্ডা ও গরমের এই তীব্রতায় অনেক শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবেও ভুগতে হয়েছে। এসব ঘটনা নিঃসন্দেহে পাঠদানের ধারাবাহিকতা ও শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট করে দেয়।
এছাড়া বন্যা ও খরার মতো বিষয়গুলোও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বন্যার কারণে এবছর সিলেট শিক্ষা বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা অন্য সব শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে একযোগে শুরু হতে পারেনি।
বসত ভিটা ডুবে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়ে উঠে আশ্রয়কেন্দ্র। পরিস্থিতি যখন এমন হয়ে দাঁড়ায় তখন শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা গিয়ে ঠেকবে কোথায়?
শুধু তাই নয়, বন্যাদুর্গত দরিদ্র পরিবারের অনেক শিশুরই হয়ত আর ফেরা হয় না স্কুলে। আবার নদী ভাঙনের কবলে বসত ভিটা হারিয়ে অনেক শিশুর পরিবারই জলবায়ু শরণার্থী হিসেবে পাড়ি জমায় অন্য ঠিকানায়। এসবের ফলে বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রমের ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়।
তাই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধে আমাদের এক হয়ে লড়াই করতে হবে। শিশুদের বেড়ে উঠা ও শিক্ষার সুযোগকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আমাদের নীতি নির্ধারকদের আরও ভাবতে হবে।
প্রতিবেদেকের বয়স: ১৬। জেলা: ঢাকা।