যশোর-খুলনা এলাকার দীর্ঘতম নদী 'ভৈরব নদী'। আমার জন্মভূমি বাগেরহাট হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই এই নদী দেখে আমার বড় হওয়া।
আমি বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। পড়াশোনার চাপে ঘোরাঘুরির জন্য খুব একটা সময় পাই না। তাই ছুটির দিনগুলোতে চেষ্টা করি পরিবারের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার।
নৌকা ভ্রমণ আমার ভালো লাগে, ঠিক করি ভৈরব নদীতে ঘুরতে যাব। পরিকল্পনা মতো আমরা বের হয়ে গেলাম নৌকা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে।
বাগেরহাট শহরের বাজার ঘাট থেকে উঠলাম একটি নৌকায়। আমার ভ্রমণ সঙ্গী হয় আমার মা আর বোন। নদীটা পার হয়ে ওপাড়ে আমরা কিছু দূরও গিয়েছিলাম।
নদী পার হওয়ার সময় নৌকায় বসে প্রকৃতির অপরুপ দৃশ্য উপভোগ করছিলাম। দেখছিলাম অল্প টাকায় কীভাবে নৌকায় মানুষ নদী পারাপার হচ্ছে। এখনো এদিকে যাতায়াতে ব্যবহার করা হয় এই নৌকা।
নৌকা ভ্রমণের সময় আমি আমার মুঠোফোন থেকে ছবি ও ভিডিও ধারণ করি। এক ঘণ্টার মতো নৌকায় ঘুরে বিকেলের শেষ দিকে বাড়ি ফিরে আসি।
কয়েকশ বছর আগে এই ভৈরব নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল বাগেরহাটের শহর-বাজার।
প্রতিবেদকের বয়স: ১১। জেলা: বাগেরহাট।