প্রকৃতিই দিতে পারে নির্মল বিনোদন

‘বড় বড় বেশ কিছু বিনোদন কেন্দ্র আছে যার সবগুলোই কৃত্রিম ভাবে তৈরি। যেখানে পর্যাপ্ত প্রকৃতিক সৌন্দর্য পাওয়া যায় না, প্রকৃতির ছোঁয়াও পাওয়া যায় না।’
প্রকৃতিই দিতে পারে নির্মল বিনোদন

নগরায়নের ফলে সংকুচিত হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। যান্ত্রিক জীবনে খানিক স্বস্তির জন্য আমরা প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে চাই, কিন্তু সেখানে আমরাই তৈরি করছি সঙ্কট।

নিজেদের প্রয়োজনে গাছপালা কাটি কিন্তু নতুন করে আর গাছ লাগাতে আগ্রহ নেই আমাদের। অনেক খাল, বিল, পুকুর ভরাট করে তৈরি করা হচ্ছে বড় বড় দালান। শহুরে যান্ত্রিক জীবনে মানুষ যখন বিনোদন খোঁজে তখন প্রকৃতিকে ছুঁয়ে দেখা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে ওঠে। বিনোদন কেন্দ্রগুলোও এখন চার দেয়ালের মাঝে ইট পাথরে বন্দি হয়ে যাচ্ছে।

বড় বড় বেশ কিছু বিনোদন কেন্দ্র আছে যার সবগুলোই কৃত্রিম ভাবে তৈরি। যেখানে পর্যাপ্ত প্রকৃতিক সৌন্দর্য পাওয়া যায় না, প্রকৃতির ছোঁয়াও পাওয়া যায় না। সেখানে কৃত্রিম ঘাস লাগানো হয়, কৃত্রিম গাছপালা আর পশু-পাখি বানানো হয়। অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো। এটা কখনোই নির্মল বিনোদন হতে পারে না।

কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, জাফলংয়ের মতো পর্যটন স্পটগুলোতে গেলে মানুষ প্রশান্তি অনুভব করে। কিন্তু দূর থেকে যেতে হলে সময় বের করাটা একটা ঝামেলা হয়ে যায়, পাশাপাশি ব্যয়বহুলও হয়ে যায়।

আমাদের প্রায় প্রতিটা জেলাতেই অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছে যেগুলোকে গড়ে তোলা সম্ভব পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে যেমন এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, তেমনি বিনোদনের আরও সুযোগও তৈরি হবে।

প্রকৃতিতে মানুষ সবচেয়ে বেশি আনন্দ পায় এবং এটি প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতাও। নির্মল বিনোদনের জন্য প্রকৃতিকে ধ্বংস না করেই বিনোদন উপযোগী করে গড়ে তোলা হোক।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: সিরাজগঞ্জ।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com