করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপে যখন ঘরবন্দি তখন ইন্টারনেট নিয়েই বেশি সময় কাটছিল।
এই দীর্ঘ অবসরে লেখালেখি সম্পর্কে ধারণা পাই আমি। টুকটাক লিখে ফেইসবুকে পোস্টও করি। সেটা দেখে এক বড় ভাই আমাকে বলেন, তুমি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে লেখালেখি করতে পার।
আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করি, হ্যালো কী? জবাবে তিনি আমাকে বলেন, এখানে শিশুরা সাংবাদিকতা করে। ১৮ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত এখানে কাজ করা যায়।
এরপর আমি জানতে চাইলাম আমি কীভাবে যুক্ত হতে পারব? সেই ভাই নিজে আমাকে হ্যালোতে নিবন্ধন করে দিলেন।
হ্যালোতে লেখা পাঠানোর পর যখন প্রথম আমার লেখা প্রকাশ হলো আমার বেশ আনন্দ হয়েছিল সেদিন। শুধু লেখালেখিই করেছি, কিন্তু হ্যালোতে যে ভিডিও প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয় সেটা জানতাম না।
ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য হ্যালোর দপ্তর থেকে আমাকে সাহায্য করা হয়। এরপরই আমি কাজে লেগে পড়ি। এ পর্যন্ত অনেকগুলো ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করেছি আমি।
আগেই একবার উল্লেখ করেছি, ১৮ বছর হয়ে গেলে হ্যালোতে আর সাংবাদিকতা করা যায় না। আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটতে যাচ্ছে। নিজের জন্মদিনে হ্যালো থেকে বিদায় নেওয়ার বেদনার মুখোমুখি আমি। এ এক ভিন্ন জন্মদিন এল আমার জন্য।
আর কখনো ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হবে না- বিজয় দে, হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, বাগেরহাট। হ্যালোতে আর নিজের প্রতিবেদনও দেখতে পারব না। তবে নিয়মিতই হয়ত সবার স্টোরিগুলো পড়ব।
শিশু সাংবাদিক হিসেবে হ্যালোর সঙ্গে আমার যাত্রা শেষ হতে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু হ্যালো পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে না এটা আমি বিশ্বাস করি। নিয়মের কারণে আজ বিদায় বলতেই হচ্ছে৷ অনেক মিস করব তোমায় প্রিয় হ্যালো।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: বাগেরহাট।