সংবাদ আর তথ্য জানা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। গণযোগাযোগের মাধ্যমে এটি সমাজের প্রতিটি স্তরে পৌঁছে যায়।
প্রাচীনকালে বার্তাবাহক বা কবুতরের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হতো। দিন দিন যোগাযোগ পদ্ধতিতে এসেছে পরিবর্তন। ঠিক তেমনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতাতেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
আগে চিঠি বা ফ্যাক্সের মাধ্যমে সংবাদদাতারা বার্তাকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করত, কিন্তু এখন যোগাযোগ স্থাপন করা যায় নিমিষেই। এই যেমন আমি হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে আমার স্টোরিগুলো পাঠাই ইমেইল করে। যা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পৌঁছে যায় হ্যালোর বার্তাকক্ষে।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে এখন মুহুর্তেই সংবাদ জানার একটি চাহিদা তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আগের দিনের খবর পরের দিন এখন আর কেউ জানতে চায় না। এজন্যই প্রচুর অনলাইন পোর্টাল গড়ে ওঠেছে। এসব পোর্টালগুলো কে কার আগে খবর প্রকাশ করবে সেটি নিয়েও চলে প্রতিযোগিতা। শুধু তাই নয়, বেশি মানুষ যাতে পোর্টালে ক্লিক করে তাই নেটিজেনদের নানা চটকদার শিরোনামের ফাঁদে ফেলা হয়। আমি মনে করি এগুলো অসততা, যা সাংবাদিকতার নীতির সঙ্গে অমানানসই।
বর্তমানে তাই সঠিক সংবাদ বাছাই করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সাংবাদিকতাও পড়েছে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। দেশের প্রথম ইন্টারনেট সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। খবর কত দ্রুত প্রচার করা যায়, সেই দৌড়ে গা না ভাসিয়ে সংবাদের তথ্য ও উৎস যাচাইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সংবাদমাধ্যমটি। রঙচঙে সংবাদ দিয়ে পাঠককে বিভ্রান্ত করার চর্চাও হয় না এখানে।
সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমি এমনই একটি সংবাদমাধ্যমে সহশিক্ষা হিসেবে শিশু সাংবাদিকতা করছি, যে সংবাদমাধ্যমে অনুসরণ করা হয় কঠোর সম্পাদকীয় নীতি। যে প্রতিষ্ঠানের বার্তাকক্ষ তথ্য সূত্রের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে।
হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমও আমাদের কাছে এই একই শিক্ষা পৌঁছে দিয়েছে। এই নীতিকে নিজের মধ্যে ধারণ করে যাচ্ছি। তাই ভবিষ্যতে সৎ ও বিশুদ্ধ সাংবাদিকতার স্বপ্ন দেখি। মানুষের কাছে সত্যের বার্তাবাহক হিসেবে পৌঁছাতে চাই।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: মৌলভীবাজার।