
দুর্গত মানুষের জন্য কাজ করতে পারাটা আনন্দ লাগে, প্রশান্তি আসে মনে।
কয়েকদিন ধরেই গণমাধ্যম থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে পারছিলাম। যেহেতু উপকূলীয় জেলায় আমার বাড়ি, তাই ঘূর্ণিঝড়ের কথা মনে হলেই ভয় হয়। কিন্তু ভয় করলে কি আর চলে? এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই আমাদের চলতে হয়।
তাই ঘূর্ণিঝড় আসার খবর শুনেই ঠিক করলাম আমাদের সংগঠন গ্লোরি ফিউচার ফাউন্ডেশন থেকে দুর্গত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করব।
বাগেরহাটের যাত্রাপুরের চাঁপাতলা গ্রামে যাই আমরা। যেহেতু আমাদের জেলার চারদিকেই নদী তাই প্রত্যন্ত গ্রামে বাতাসের গতি সামান্য বাড়লেই ভয়ে আতঁকে ওঠেন বাসিন্দারা।
'মোখা' আসার কথা শুনেই আমরা এসব পরিবারের শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ করি। শিশুদের আতঙ্ক কাটানো ও তাদের মধ্য সচেতনতা সৃষ্টি করাও আমাদের লক্ষ্য ছিল।
দুর্যোগের এই সময় তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য খুশি এই গ্রামের শিশুরা। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সেবামূলক কাজ করে থাকি। মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি আমরা।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: বাগেরহাট।