ঈদুল ফিতরে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ বেশি পাওয়া যায় বলে এই ঈদকে আমি বেশি পছন্দ করি। আগের ঈদের মতো এবারে ঈদেও আমি ঘুরে বেড়িয়েছি। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দটাকে ভাগাভাগি করেছি।
ঈদের দিন খুব ভোরেই ঘুম থেকে উঠে গোসল সেরে নতুন পাঞ্জাবি পরে বাবার সঙ্গে ঈদ্গাহে যাওয়ার বাসা থেকে বের হই। ঈদের নামাজ পড়েছি হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ প্রাঙ্গণে। সিলেট শহরের অনেক মানুষ এখানে ঈদের নামাজ পড়তে আসেন।
ঈদের নামাজ শেষ করে বাবার সঙ্গে বাবার এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছি। সেখান থেকে আমাদের বাসায় ফিরতে ফিরতে বেলা সাড়ে ১১টা বেজে যায়।
বাসায় এসে দেখি মামা আমাদের বাসায় এসে হাজির। মামাকে দেখে খুব খুশি হলাম। আনন্দের দিনে পরিবারের সবাইকে কাছে পেলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
এরপর খালামণিকে চমকে দিতে তাকে না জানিয়েই বাসায় গিয়ে হাজির হলাম। খালামণির চমকে যাওয়া দেখে বুঝতে পারলাম তাকে চমকে দেওয়ার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। মনে মনে খুশিই হলাম।
খালামণির বাসায় খালাতো ভাই-বোনদের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে তারপর তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাসায় ফিরলাম।
বিকেল তিনটার দিকে আমার বন্ধু সাদিয়া আমাদের বাসায় এল। বিকেল চারটায় আমরা ঘুরতে বের হলাম। লাক্কাতুরা চা বাগানে প্রবেশ করতেই পুরনো কিছু স্মৃতি মনে পড়ল।
হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে শিশু সাংবাদিক হিসেবে আমার যাত্রা শুরুর স্মৃতির সঙ্গে এই স্থানটি জড়িত। কর্মশালা শেষে এখানেই আমরা হাতে-কলমে ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করা শিখেছিলাম।
ঈদের দিনের ঘোরাঘুরি শেষ হয় আমাদের বন্ধু সাদিয়ার বাসায় বেড়ানোর মাধ্যমে। সাদিয়ার আতিথেয়তায় অবাক হলাম সবাই। মজার মজার অনেক খাবার সে পরিবেশন করেছে। রাত ১১টায় বাসায় ফেরার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আমার এবারের ঈদের আনন্দ।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: সিলেট।