
বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে বিদ্যুৎ ও তেলের খরচ কমানোর একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার, তার মধ্যে একটি লোডশেডিং।
গ্রাহক পর্যায়ে দিনে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত হয়। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সিদ্ধান্তগুলো আমাদের মেনে নিতে হবেই বলে মনে করি। তবে আমার আপত্তির জায়গাটা ভিন্ন।
কখন কোথায় লোডশেডিং হবে তার সম্ভাব্য সময়সূচি প্রকাশ করা হলেও রংপুরে এটি একদমই হ-য-ব-র-ল অবস্থায় আছে। সময় যেন কোনোদিনই মানা হচ্ছে না, তেমনি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়তে হচ্ছে দুই ঘণ্টা থেকেও বেশি সময় ধরে।
আমাদের বর্তমান জীবন-জীবিকা বিদ্যুৎ আর ইন্টারনেট ছাড়া যেন কল্পনা করাই দায়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কেউই এই ভোগান্তির বাইরে নয়।
তরুণ প্রজন্মের অনেকে আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করছে, তাদের জন্য এই বিড়ম্বনা কতটা প্রকট তা হয়ত বলার অপেক্ষা রাখে না। লোডশেডিংয়ের সঠিক সময় সূচি জানতে পারলে নিজের সূচিটাকে সুবিধামতো সাজিয়ে নেওয়া যায়। এতে ভোগান্তি বা ক্ষতি কম হয়।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিটা আরও বেশি। মহামারি করোনাভাইরাসে পড়াশোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার এই সময়টাতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টাও থাকতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
বন্যা পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নিরবিচ্ছিন্ন পড়াশোনা করতে পারছে না বলেও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে।
ফাইরুজ নাওয়ার মেধা নামে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের এক পরীক্ষার্থী আমাকে বলছিল, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সঙ্গে প্রচণ্ড গরমে পড়াশোনায় মনযোগ দেওয়াটা কষ্টকর হয়ে ওঠেছে। তুশি সাহা নামে আরেক শিক্ষার্থীর কণ্ঠেও ছিল প্রায় একই কথা।
২৭ জুলাই বুধবারও রংপুর নগরীতে সারাদিনে প্রায় ৮-১০ বার লোডশেডিং হয়েছে। কবে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে তা জানি না। সঠিক সূচিটা পেলে আমাদের জন্য কিছুটা হলেও সুবিধা হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: রংপুর।