১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। কিন্তু এই পতাকার মর্যাদা সম্পর্কে আমরা কতটুকু দায়িত্বশীল?
স্বাধীনতা আর বিজয় দিবসের মতো জাতীয় দিবসগুলো উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকার ব্যবহার বেড়ে যায়। কেননা জাতীয় পতাকা আমাদের বিজয়ের কথা বলে, আমাদের নিজের অস্তিত্বের জানান দেয়। জাতীয় পতাকার পবিত্রতা অনেক ক্ষেত্রেই রক্ষা হয় না বলে আমি মনে করি। আমাদের অনেকেই জাতীয় পতাকার অবমাননা করে ফেলি।
সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনা। সবাই নিজ নিজ প্রিয় দলের পতাকা উড়িয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখতে পেলাম সেই পতাকার সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা নেই, থাকলেও সেটা খুব ছোট কিংবা ভিনদেশি পতাকার নিচে।
আমি জাতীয় পতাকা বিধিমালা থেকে জানতে পেরেছি, মোটরগাড়ি, নৌযান, উড়োজাহাজ ও বিশেষ অনুষ্ঠান ব্যতীত অন্য সময় পতাকা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উত্তোলিত থাকবে এবং সূর্যাস্তের পর কোনো মতেই পতাকা উড্ডীয়ন অবস্থায় থাকবে না।
কিন্তু অনেক বাড়ির ছাদেই দেখছি ভিনদেশি পতাকার সঙ্গে রাত-দিন উড়ছে আমাদের জাতীয় পতাকা। আমরা হয়ত প্রত্যেকেই নিজের অস্থিত্বকে ভালোবাসি কিন্তু একটু অসচেতনতার ফলে নিজেদেরকেই ছোট করে ফেলি।
বিজয় কিংবা স্বাধীনতার মাসে কাগজের পতাকা দিয়েও অনেক জায়গায় সাজানো হয়। অনুষ্ঠানের আগে যত্ন করে পতাকাগুলো টাঙানো হয় কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে সেগুলো পড়ে থাকে মাটিতে। পতাকার মর্যাদা কি শুধু বিশেষ দিবসের অনুষ্ঠানের আগের দিন থেকে অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্তই?
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।