
এক সময় আমার গ্রামের মাঠে চোখে পড়ত মহিষের দল। মাঠগুলো ছিল শত শত মহিষের নিরাপদ খাদ্য ও চরে বেড়ানোর জায়গা।
বিকেলে খেলার মাঠে গেলেই দেখা যেত পাশেই এক দল রাখাল মাঠে মহিষ চরাচ্ছেন। আবার কোনো কোনো বিলে গলা ডুবিয়ে জাবর কাটত এই মোষের দল।
অনেক শিশু, কিশোর মোষের গোবর সংগ্রহ করত। যা শুকিয়ে ব্যবহার করা হতো রান্নার জ্বালানি হিসেবে।
শুধু আমার গ্রাম নয়, পটুয়াখালী জেলার অনেক গ্রামের মাঠ ও বিলের চিত্র ছিল একই রকম।কিন্ত দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় ক্রমাগত নতুন ঘরবাড়ি তৈরির ফলে কমে গেছে মাঠ।
নানাবিধ সমস্যার কারণে গৃহপালিত মহিষ এখন কোনো বিলে তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে কিছু মহিষ দেখো গেলেও তা আগের তুলনায় খুবই কম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, আশির দশকে দেশে মহিষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪২ লাখ। বছর বছর এ সংখ্যা কমতে কমতে ২০১০ সাল নাগাদ নেমে আসে ১৪ লাখ ৮৩ হাজারে।২০১৫ সালে দেশে মহিষের সংখ্যা আরও কমে দাঁড়ায় আট লাখ ৩০ হাজার, ২০১৮ সালে পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার আটশ ৩০টি। সবশেষ ২০১৯ সালের হিসাবে দেশে মহিষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন লাখ ৭৮ হাজার চারশ ১১টিতে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: পটুয়াখালী।